
চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্র হাবিবুর রহমানের (১১) লাশ উদ্ধারের ঘটনার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ পাঁচ শিক্ষকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অধ্যক্ষসহ মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন হলেন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার জামেয়া ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু দারদা খান, শিক্ষক তারেকুর রহমান, মো. জুবায়ের, আনসার আলী ও আবদুস সামাদ।
হাবিবুরের বাবা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ছেলেকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় অধ্যক্ষ আবু দারদা খান ও শিক্ষক তারেকুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়। শিশুটি ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
গত বুধবার রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে হাবিবুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসাটির চতুর্থ তলায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলন্ত ছিল। তবে তার পা মেঝের সঙ্গে লাগানো ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে মাদ্রাসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচ মাদ্রাসাশিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ শিক্ষকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শিশুটির বাবা আনিসুর রহমান বলেন, ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে, এটা তিনি বিশ্বাস করেন না। তবে প্রকৃত ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসুক, যাতে আর কোনো মা-বাবাকে এভাবে সন্তানকে হারাতে না হয়।