মাদারীপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ

মাদারীপুরে বৈশাখের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শকুনি লেকের পাড়, মাদারীপুর, ১৪ এপ্রিল। ছবি: অজয় কুন্ডু
মাদারীপুরে বৈশাখের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শকুনি লেকের পাড়, মাদারীপুর, ১৪ এপ্রিল। ছবি: অজয় কুন্ডু

মাদারীপুরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো পয়লা বৈশাখ। বৈশাখের প্রথম প্রহরে শহরের শকুনি লেকের পাড়ের কয়েকটি স্থানে গানে গানে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। এরপর লেকের পাড় ‘স্বাধীনতা অঙ্গন’ থেকে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে আলাদা মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী অঙ্কিতা দাস বলেন, ‘সকাল সকাল নরম রোদে বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। আমাদের নানা কারুকার্য দেখে আমরা মনের মধ্যে ধারণ করতে পেরেছি প্রাণের বৈশাখকে।’

কালকিনি থেকে আসা কলেজছাত্র মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা একসঙ্গে মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছি। বন্ধুরা সবাই এক পোশাকে মাথায় গামছা বেঁধে খুব আনন্দ উল্লাসে মেতেছি। আমরা এই উৎসবকে সারা জীবন বাঁচিয়ে রাখতে চাই।’

নানা প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শকুনি লেকেরপাড়, মাদারীপুর, ১৪ এপ্রিল। ছবি: অজয় কুন্ডু
নানা প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শকুনি লেকেরপাড়, মাদারীপুর, ১৪ এপ্রিল। ছবি: অজয় কুন্ডু

মাদারীপুরের সংগীতশিল্পী ইয়াকুব শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈশাখকে বরণ করে নিতে আমরা ভোর থেকে লেকপাড় স্বাধীনতা অঙ্গনে গান পরিবেশন করেছি। অনেকই আমাদের সঙ্গে সুর-তাল মিলিয়ে গান করেছেন। সবার মাঝেই বৈশাখের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আমাদের গানের আয়োজন।’

দিনটিকে ঘিরে লেকপাড় স্বাধীনতা অঙ্গনে আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখী মেলা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী মেলায় আছে পুতুলনাচ, নাগরদোলা, নৌকাবাইচ ও ষাঁড়ের লড়াই। পাশাপাশি মেলায় পাওয়া যাবে হরেক রকমের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। দিনটি বাংলা ভাষাভাষী সব জনগোষ্ঠীর জন্য এক মহা উৎসবের। প্রতিবছরই ঘটা করে বিশ্বের বাঙালি সম্প্রদায় দিনটিকে নানাভাবে উদ্‌যাপন করে থাকে। এ দিনে ব্যবসায়ীরা তাঁদের হিসাবের নতুন খাতা খোলেন আর সারা দিনই চলতে থাকে হালখাতার আমেজ।