আড়াইহাজারে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া একটি পিকআপভ্যানও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ষাড়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ষাড়পাড়া এলাকার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মঞ্জুর হোসেন ও ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নান্নু মিয়া দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে সরকারের অনুমোদনবিহীন ভুট্টার মিষ্টি খই, চিপস, আইস ললি ও আইসক্রিম কারখানার ব্যবসা করে আসছিলেন। সম্প্রতি নরসিংদী এলাকার মিঠুন নামের এক ক্রেতা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নান্নু মিয়া কারখানা থেকে বাকিতে মাল কিনে টাকা দিতে গড়িমসি করেন। গতকাল বিকেলে মিঠুনের কাছে যুবলীগ নেতা মঞ্জুর হোসেন বাকিতে মাল বিক্রয় করেন। এ নিয়ে মঞ্জুর হোসেন ও নান্নু মিয়ার মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নান্নু মিয়া ও তাঁর লোকজন ধারালো দা, ছোরা, হকিস্টিক নিয়ে যুবলীগ নেতা মঞ্জুর হোসেনের বাড়িতে হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। ওই সময় যুবলীগ নেতা মঞ্জুর হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন নান্নু মিয়া ও তাঁর লোকজন। এ সময় কারখানায় মাল নিতে আসা একটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করা হয়।

অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নান্নু মিয়া অভিযোগ করেন, তাঁর ব্যবসা বন্ধ করার জন্য মঞ্জুর হোসেন তাঁর ক্রেতাদের কাছে কম দামে ও বাকিতে মাল বিক্রি করছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।