পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় গৃহবধূ খুন!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় সেলিনা আক্তার (৫০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার দক্ষিণ থানতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্বজনেরা বলেন, ৩০ বছর আগে সেলিনার সঙ্গে হারুনের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে এক নারীর সঙ্গে পরকীয় জড়িয়ে পড়েন হারুন। এতে বাধা দেন সেলিনা। এরপর থেকে সেলিনার ওপর নির্যাতন বেড়ে যায়। এরই জের ধরে আজ ভোরে সেলিনাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। তাঁর লাশ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হারুনকে আটক করে।

নিহত সেলিনার বড় ভাই মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই শিবচর থেকে মাদারীপুরে চলে আসি। এসে দেখি সেলিনার লাশ মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। ওখানে গিয়ে দেখলাম বোনের গলা, কপাল ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ছাড়া গলায় রশির ফাঁসের দাগ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, শ্বাসরোধে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, আমরা তাদের বিচার চাই।’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) বদরুল আলম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক গৃহবধূর মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহত নারীর শরীরে চড়-থাপ্পড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর গালেও থাপ্পড়ের চিহ্ন আছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বোঝা যাবে মূল রহস্য কী। এ ছাড়া আমাদের কাছে নিহত নারীর স্বজনেরা কোনো অভিযোগ বা মামলা করতে আসেনি। তারা অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

তবে এ বিষয়ে স্বামী হারুন অর রশীদের পক্ষের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।