গরুর 'ভুল' চিকিৎসা, ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় একটি গরু মারা যাওয়ায় ও ১০টি রুগ্‌ণ হওয়ার অভিযোগে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন এক খামারি । গতকাল বুধবার ওই খামারি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।

ওই খামারির নাম মাসুদ মোল্লা। তিনি বালিয়াকান্দি গ্রামের আবদুল কাদের মোল্লার ছেলে।

খামারি মাসুদ মোল্লা অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়িতে গরুর খামার আছে। খামারে উন্নতজাতের ১১টি গাভি ছিল। ১৭ দিন আগে ৫টি গাভি এবং একটি বাছুর অসুস্থ হলে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করেন। এরপর প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কম্পাউন্ডার আবু হেনা তাঁর খামারে গিয়ে গাভিগুলো ও বাছুরটিকে চিকিৎসা দেন। ওই সময় গাভি ও বাছুরের জ্বর ১০৬ ডিগ্রি ছিল। কম্পাউন্ডার আবু হেনা জানান, ১০৬ ডিগ্রি জ্বর থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। এতে কোনো ক্ষতি হবে না। বাছুরটি বেশি অসুস্থ হলেও তিনি কোনো প্রকার চিকিৎসা না দিয়ে মিথ্যা সান্ত্বনা দেন।

মাসুদের অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার সকালে বাছুরটি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর তাঁর (আবু হেনা) সাথে যোগাযোগ করি। তিনি স্বাভাবিক ঘটনা বলে জানান। অন্য বড় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইলেও তিনি নিরুৎসাহিত করেন। পরে বাছুরটি মারা যায়। তিনি আমার কাছ থেকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এ ধরনের চিকিৎসা দিয়েছেন বলে ধারণা করছি। কারণ প্রতিবারই তাঁকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।’ মাসুদের অভিযোগ, ‘কম্পাউন্ডার হেনার অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় খামারে থাকা ১১টি গরু রুগ্‌ণ গরুতে পরিণত হয়েছে। একটি বাছুর মারা গেছে এবং পানির দরে পাঁচটি গরু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। আরও পাঁচটি গুরুর অবস্থাও খুবই খারাপ। ভুল চিকিৎসার কারণে আমার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

কম্পাউন্ডার আবু হেনা বলেন, ‘আমি ওই বাছুরের চিকিৎসা দেই নাই। অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ না থাকায় আমি গরুর চিকিৎসা সেবা দিতাম। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ডা. সরকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য বালিয়াকান্দির প্রাণী চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’