স্কুলছাত্রীর সাহসিকতায় বাল্যবিবাহ আটকালেন ইউএনও

মেয়েটির বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে ছিল আগামীকাল রোববার। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েটি এত অল্প বয়সে বিয়েতে রাজি ছিল না। সে কারণে আজ শনিবার সকালে সহপাঠীদের নিয়ে স্কুলে গিয়ে বিয়ের কথা প্রধান শিক্ষককে জানায়। এরপর প্রধান শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানালে তিনি বাল্যবিবাহ আটকে দেন।

ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের কাদেরিয়া পাড়ায়। ইউএনও মাসুদুর রহমান বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার পোমরা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সাহসিকতায় বিয়েটি আটকানো সম্ভব হয়েছে। সে নিজে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে তার বিয়ের কথা জানায়। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানালে আমি কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিই। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না শর্তে মুচলেকাও দিয়েছেন তাঁরা।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি স্কুলে এসে কান্নাকাটি করছিল। বিয়ে বন্ধ করতে ইউএনওকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে মেয়ের বাড়িতে হাজির হয়ে তিনি বিয়ে বন্ধ করে দেন।

বিয়ে বন্ধ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত স্কুলছাত্রীটি তার সহপাঠী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। পড়ালেখা করে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চায় বলেও জানিয়েছে মেয়েটি।