১৪ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। বিভিন্ন সময় চুরি যাওয়া ওই ১৪টি মোটরসাইকেলের একটি কুলিয়ারচর থেকে এবং বাকি ১৩টি বাজিতপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে । রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ওই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

আটক তিনজন হলেন সাজন ঘোষ (৩২), ফজিলত মিয়া (৩৪) ও রতন মিয়া (৩২)। তাঁদের মধ্যে সাজনের বাড়ি ওই জেলার কটিয়াদী উপজেলার ভোগপাড়ায়। এ ছাড়া ফজিলত ও রতনের বাড়ি হুমায়ুনপুরে।

পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খবর আসে কুলিয়ারচরের রামদি ইউনিয়নের জামতলী মোড়ে চোর চক্রের এক সদস্য একটি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। কিছু সময়ের মধ্যে ক্রেতা এসে সেটা নিয়ে যাবেন। এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল জামতলী মোড়ে অবস্থান নিয়ে সাজন ঘোষকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুটি মোটরসাইকেলসহ আরও দুজনকে আটক করা হয়। এরপর বাকি মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাজন বলেন, চুরি করে আনা বেশির ভাগ মোটরসাইকেল হুমায়ুনপুরে বিক্রি করেন তাঁরা।

কুলিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক বলেন, হুমায়ুনপুর গ্রামে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চলে। ভাড়ায় চলা মোটরসাইকেলগুলোর বেশির ভাগই চুরি করে আনা হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই তালুকদার বলেন, চোর চক্রের তিন সদস্যকে ধরা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে ভৈরব থানা-পুলিশও বিশেষ অভিযানে নামে। তবে অভিযানে কোনো চোর ধরা না পড়লেও নিবন্ধনহীন সাতটি মোটরসাইকেল আটক করেছে তারা।