প্রথম আলোর জুড়ী প্রতিনিধির ওপর হামলার প্রতিবাদ

কল্যাণ প্রসূনের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুলাউড়ার চৌমোহনী এলাকায় মানববন্ধন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো
কল্যাণ প্রসূনের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুলাউড়ার চৌমোহনী এলাকায় মানববন্ধন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলোর জুড়ী প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কুলাউড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। বুধবার দুপুরে পৌর শহরের চৌমোহনী এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মানিক সাহা এবং সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি বলেই সন্ত্রাসীরা আজ বেপরোয়া। তাদের থাবায় আজ ক্ষতবিক্ষত সাংবাদিক সমাজ। সত্যের পথে কলম ধরলেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে সাংবাদিকদের ওপর। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে সাংবাদিকদের ওপর চলছে অত্যাচার ও নিপীড়ন। সন্ত্রাসী হামলায় আহত ও নিহত সাংবাদিকেরা ন্যায়বিচার পান না। বিচারের দাবিতে তাঁদের রাস্তায় নামতে হয়। বক্তারা কল্যাণ প্রসূনের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

ওই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতি কুলাউড়া ইউনিটের সভাপতি মোক্তাদির হোসেন। বন্ধুসভা কুলাউড়া শাখার সভাপতি নাজমুল বারী সোহেলের সঞ্চালনায় সভায় একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, যুগান্তর প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম, বিএনপির নেতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কুলাউড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য মিত্র সুমন, সাংবাদিক ও সংগঠক শহিদুল ইসলাম তনয়, দ্য বাংলাদেশ টুডের প্রতিনিধি শাকির আহমদ, সংগঠক আতিকুল ইসলাম, ইউসুফ আহমদ ইমন প্রমুখ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য, সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথ, পৌর কাউন্সিলর মঞ্জুরুল আলম খোকন, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, সাংবাদিক এস আলম সুমন, মুক্তিযোদ্ধা নজির খান প্রমুখ।

গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রতন কুমার দের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে জাঙ্গিরাই এলাকায় যাচ্ছিলেন কল্যাণ প্রসূন। এরপর জুড়ী উপজেলা সদরের শিশুপার্ক-সংলগ্ন সেতুতে ওঠার পরপরই ওত পেতে থাকা পাঁচজন দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করে। দুর্বৃত্তদের চারজন মুখোশ পরে ছিল। হামলার একপর্যায়ে কল্যাণ প্রসূন এবং মোটরসাইকেলের চালক রতন কুমার দৌড়ে পাশের একটি দোকানে গিয়ে ঢোকেন। সেখানে গিয়েও কল্যাণ প্রসূনকে ডাকাডাকি করে দুর্বৃত্তরা। পরে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে ভবানীগঞ্জ বাজারের দিকে পালিয়ে যায়।