সিপিডির কাজ কি শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো?

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিপিডি শুধু দোষই খুঁজে বেড়ায়, দেশের গত ১০ বছরের উন্নয়ন কিংবা নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কর্মযজ্ঞ, কোনোটি তাদের চোখে পড়েনি। এটি তাদের দৈন্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দাঁড়ায়, সিপিডির কাজ কি শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো?

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন। সরকারের ১০০ দিন অতিবাহিত হওয়া উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছিল, নতুন সরকারের ১০০ দিন ছিল উদ্যমহীন। এই বিষয়ে মন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমরা স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। মাথাপিছু আয় তিন গুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬০০ ডলার থেকে মাথাপিছু আয় এখন প্রায় ২ হাজার ডলার। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে তিন গুণ। তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজে বেড়িয়েছে। তারা বাজেটের আগে একবার দোষ খোঁজে, পরে আরেকবার, বছরান্তে আরেকবার—শুধু দোষ খুঁজে বেড়ায়।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রশংসা করেছে সারা বিশ্ব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সিপিডি সে প্রশংসা করতে পারেনি। এটি তাদের দৈন্য ও ব্যর্থতা। একইভাবে সরকারের ১০০ দিন সম্পর্কে তাদের মন্তব্যও অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য। সিপিডি যে গত ১০ বছর ধরে শুধু দোষ খুঁজে বেড়ায়, তার মন্তব্য তারই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্ব দেখছে, গত ১০০ দিনেও সরকার সামাজিক, অর্থনৈতিক অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকেও অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিপিডি সেগুলো দেখতে পায় না, এটি সিপিডির ব্যর্থতা। আমি প্রার্থনা করি, সিপিডি তাদের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে দেশের মানুষের উন্নয়ন, সরকারের সাফল্য—এগুলো দেখতে সমর্থ হোক।

এ সময় বিএনপির সংসদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও করেনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর যে ধরনের উদ্যোগ আয়োজন করতে হয়, বিএনপি তা করেনি। তারা যদি তা করত এবং মনোনয়ন-বাণিজ্য না হতো, তবে তারা হয়তো আরও বেশি আসন পেতেও পারত। এখন নির্বাচিত হওয়ার পর তারা যে সংসদে যাবে না, শপথ গ্রহণ করবে না বলছে, সেটি জনগণের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন ছাড়া আর কিছু না।

বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মহাপরিকল্পনার একটি অংশ। নির্বাচনেও তারা অংশগ্রহণ করেছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে, যে কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও তারা করেনি। আর এখন যে সংসদে অংশ নেবে না বলছে, সেটিও গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত করার পরিকল্পনারই অংশ। তিনি বলেন, তবে এতে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে না। বরং বিএনপি নিজেদের বাধাগ্রস্ত করছে, যা তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।