অপুষ্টি দূর করতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ  প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান। পাশে  বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক    মো. শাহনেওয়াজ।  ছবি: প্রথম আলো
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান। পাশে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ। ছবি: প্রথম আলো

দেশে পুষ্টির অগ্রগতি দৃশ্যমান। তবে আত্মতৃপ্তির সময় এখনো আসেনি। অবশিষ্ট অপুষ্টি দূর করতে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

গতকাল প্রথম আলোর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘পুষ্টি উন্নয়নে বহু খাতভিত্তিক কর্মসূচি: সরকার ও উন্নয়ন-সহযোগীর ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এ কথা বলেন। প্রথম আলো এই বৈঠকের আয়োজন করে। এই আয়োজনে সহায়তা করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সেভ দ্য চিলড্রেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বিশ্বে অনুকরণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের খর্বতা কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা, তা দুই বছরের মধ্যে অর্জিত হবে। যে অপুষ্টি এখনো আছে, তা দূর করতে সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিতভাবে কাজ করার।

বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ বলেন, বাংলাদেশ সবজি, ফল, মাছ, বিশেষ ধরনের ছাগল উৎপাদনে প্রথম সারির দেশ। তারপরও দেশে কেন অপুষ্টি আছে, তা গভীরভাবে চিন্তার দাবি রাখে। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাক্রমে ২৫ ও ১৮ সদস্যের পুষ্টি সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে। এসব কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশে পুষ্টি কার্যক্রম নজরদারি ও মূল্যায়নের জন্য পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের দেশি উপপরিচালক ইশতিয়াক মান্নান বলেন, পুষ্টিতে দেশের সাফল্য দৃশ্যমান। সাফল্যের কথা তুলে ধরার সময় গড় তথ্য বা পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়। এ কারণে অসাম্যের বিষয়গুলো নজর এড়িয়ে যায়। টেকসই অভীষ্ট অর্জন করতে হবে সবাইকে নিয়ে। তিনি বলেন, অবশিষ্ট অপুষ্টি দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।