কুতুবদিয়া উপকূলে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

কক্সবাজারের উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার লেমশিখালী দরবারঘাট উপকূলীয় বেড়িবাঁধে দুটি জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা জলদস্যু বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাঁদের বয়স ৩৫-৪০ বছর। পরনে ছিল শার্ট ও লুঙ্গি। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, সাগরে মাছ ধরার ট্রলার লুটপাট, ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহত দুজন জলদস্যু। তাঁরা কুতুবদিয়ার বাইরের লোক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, রাতে লেমশিখালীর বেড়িবাঁধে গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে থানার দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, সাগর চ্যানেল–সংলগ্ন বেড়িবাঁধে দুটি জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা চালায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় জলদস্যুদের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল তাপস বড়ুয়া ও সাইফুল ইসলাম আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, দুইটি কার্তুজ, ১০টি গুলির খোসাসহ গুলিবিদ্ধ দুই জলদস্যুকে আটক করে পুলিশ।

ওসি মো. দিদারুল ফেরদৌস বলেন, গুলিবিদ্ধ দুই জলদস্যু ও আহত দুই পুলিশ সদস্যকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ দুই দস্যুকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের দুই সদস্যকে সেখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় ট্রলার মালিকেরা জানান, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুদের উৎপাত বেড়েছে। মাছ ধরার ট্রলারে লুটপাট চালানোর পাশাপাশি মুক্তিপণ আদায়ের জন্য দস্যুরা জেলেসহ ট্রলার অপহরণেও জড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কুতুবদিয়া উপকূলের কয়েকজন দস্যুও রয়েছে।