ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস।  ছবি: প্রথম আলো
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। গতকাল শুক্রবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় মণিপুরি থিয়েটার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুই দেশের সংস্কৃতি অভিন্ন ও এক। এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। বাংলাদেশে মণিপুরিদের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। বিশেষ করে মণিপুরি থিয়েটারের নাটক দেশ ও দেশের বাইরে খ্যাতি লাভ করেছে। তাদের নাট্যচর্চার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে ভারতীয় হাইকমিশন।

ভারতীয় হাইকমিশনের অর্থায়নেই ৫৬ লাখের বেশি টাকা ব্যয়ে কমলগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম আদমপুরের ঘোড়ামারায় স্টুডিও মণিপুরি নটমণ্ডপ নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে ওই নটমণ্ডপের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। এই নটমণ্ডপে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কাজেও ভারতীয় হাইকমিশন মণিপুরি থিয়েটারের পাশে থাকবে।

গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় নটমণ্ডপের উন্মুক্ত মঞ্চে ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মণিপুরি থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান শুভাশিস সিনহা। এর আগে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী সাংসদ ও নাট্যব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার এল কৃষ্ণমূর্তি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, সিলেটের সঙ্গে ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সীমান্ত রয়েছে। এই তিন রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিকতার সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই সিলেটে একটি ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। দুই দেশ আরও কাছাকাছি এসে দুই দেশের সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও উন্নয়ন হচ্ছে। সিলেট বিভাগে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ বহু ভাষাভাষী মানুষজনের বসবাস। তাদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশে ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আসছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার পরে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে নটমণ্ডপের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মণিপুরি শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাতে মণিপুরি থিয়েটারের শিল্পীরা একটি নাটক মঞ্চায়ন করেন।