পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুন

নিহত এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাজিউর রহমান নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত
নিহত এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাজিউর রহমান নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুরে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দিনদুপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন নাজিউর রহমান নাহিদ (১৮) নামের এক পরীক্ষার্থী। শনিবার বেলা দুইটার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুবলাগাড়ি-মোস্তাইল সড়কের ঘাসিড়া নামক স্থানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি। ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনগণ রবিউল ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

নিহত নাজিউরের বাবা এবং স্থানীয় বহাইল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে নাজিউর রহমান বগুড়ার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল। শনিবার রসায়ন দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে এক সহপাঠীকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল নাজিউর। বেলা দুইটার দিকে খাসিড়া নামক স্থানে কয়েকজন যুবক পথ আটকিয়ে নাজিউরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মতিউর রহমান বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। তবে কয়েকজন বখাটে কিছু দিন ধরে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য নাজিউরকে চাপ দিচ্ছিল। এই বখাটেরাই তাকে খুন করেছে কি না, তা নাজিউরের সঙ্গে থাকা সহপাঠী জাহিরুল জেনে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা নাজিউর নামের ওই শিক্ষার্থীর পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। হত্যার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো হত্যা মামলা হয়নি।

হত্যাকাণ্ডের পর বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, কলেজছাত্র নাজিউর রহমানকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। হত্যার সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।