স্যালাইন পান করাল ছাত্রলীগ

চলনবিলে ধান কাটা শ্রমিকদের স্যালাইন-মিশ্রিত ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গুরুদাসপুর, নাটোর, ২৯ এপ্রিল ২০১৯। ছবি: প্রথম আলো
চলনবিলে ধান কাটা শ্রমিকদের স্যালাইন-মিশ্রিত ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গুরুদাসপুর, নাটোর, ২৯ এপ্রিল ২০১৯। ছবি: প্রথম আলো

তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি। নাটোরের চলনবিলে খাড়া রোদ বিকিরণ করছে সূর্য। এরই মধ্যে ধান কেটে চলেছেন হাজার হাজার শ্রমিক। তাঁদের শরীর বেয়ে দরদরিয়ে ঝরছে ঘাম। ভ্যাপসা গরমের ওষ্ঠাগত তাঁদের প্রাণ। ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত এসব শ্রমিক তৃষ্ণায় যখন হাঁসফাঁস করছেন, তখনই একদল তরুণ ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন নিয়ে বিলের মধ্যে প্রবেশ করেন। দলটি ঠান্ডা পানির সঙ্গে খাওয়ার স্যালাইন মিশিয়ে প্রায় ৩০০ শ্রমিকের তৃষ্ণা মেটায়।

সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। আর মানবিক এ উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ওই তরুণেরা সবাই গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী।

ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সভাপতি আতিয়ার রহমানের উদ্যোগ এই কাজ করে উপজেলা ছাত্রলীগ। প্রথমে তাঁরা বাজার থেকে প্রায় ১০০ প্যাকেট খাওয়ার স্যালাইন কেনেন। এরপর বিলশা গ্রামের কয়েকটি বাড়ি থেকে বালতি, মগ, গ্লাস এবং ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি সংগ্রহ করেন। পরে, মাঠে মাঠে গিয়ে শ্রমিকদের স্যালাইন মেশানো পানি পান করান।

ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, অত্যধিক তাপমাত্রা আর ভ্যাপসা গরমে ঘরে বসে ফ্যানের বাতাসেও মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে না। তাহলে তপ্ত রোদে শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা যে আরও সংকটময়, তা সহজে বোঝা যায়। এ জন্য রোদে পোড়া খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবেই সোমবার দুপুরে উপজেলার চলনবিল এলাকার বিলশা, খুবজীপুর, রুহাই ও তাড়াশের কুন্দইল মাঠে ঘুরে ঘুরে শ্রমিকদের স্যালাইনমিশ্রিত পানি পান করান তাঁরা। তাঁদের এ কাজে সহযোগিতা করেন যুবলীগের নেতা মো.রুবেল সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাশিষ কবির, ছাত্রলীগের কর্মী রমিজুল, শুভ, আলিম ও ব্যবসায়ী মো.ইমরুল সরকার।

খেতে ধান কাটা কয়েকজন শ্রমিক প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে তারা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করেন। এতে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে। অন্যদিকে মাঠে কোনো ছায়া নেই। এ জন্য তাঁদের সঙ্গে করে আনা পানিও গরম হয়ে যায়। আর তৃষ্ণা পেলে কলসে থাকা ওই গরম পানিই পান করতে হয় তাঁদের। তবে সোমবার দুপুরে স্যালাইনমিশ্রিত পানি নিয়ে একদল তরুণ মাঠে ছুটে আসেন। ওই পানি পান করে তৃপ্ত হয়েছেন তাঁরা।