দুমাস পর আবার নদীতে ফিরছেন জেলেরা

সরকারি নির্দেশে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। ফলে আগামী বুধবার থেকে আবার নিজেদের চিরচেনা কাজে ফিরছেন জেলেরা। এরই মধ্যে জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াও শুরু করেছেন।

সোমবার সরেজমিনে চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরানবাজার রণগোয়াল,লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া ও রামদাশদী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদী ও খালপাড়ে বসে মাছ ধরার জন্য নৌকা আর জাল মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে দুই মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় এখন নদীতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাছ পাবেন, এমনটাই আশা করছেন তাঁরা।

রামদাশদী গ্রামের জেলে মো. হাসান ব্যাপারী বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ ধরিনি। সরকারের সহযোগিতায় সংসার চলেছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই মাছ ধরতে যাব। সেই জন্য জাল ও নৌকা প্রস্তুত করছি। রণগোয়াল এলাকার জেলে ইউসুফ আলী বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে আসছে। আমরা এখন নদীতে মাছ ধরতে নামব। বড় বড় ইলিশ ধরব এমন আশা করছি।

নিষেধাজ্ঞা চলার সময় সরকারের তরফ থেকে সাহায্য হিসেবে প্রতিটি জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি চাল দেওয়া হয়। তবে চাল ছাড়াও অন্যান্য সহযোগিতাও আশা করছেন জেলেরা। সাখুয়ার জেলে শাহজাহান গাজী বলেন, দুই মাস মাছ না ধরায় সরকারের কাছ থেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল পেয়েছি। কিন্তু অন্যান্য সহায়তা থাকলে আমরা ভালোভাবে চলতে পারতাম।

দুমাস পর আবার মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন জেলেরা। ছবি: প্রথম আলো
দুমাস পর আবার মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন জেলেরা। ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশ ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও জাটকা ধরা পুরোপুরিভাবে আটকানো যায়নি। তারপরও আমরা আশা করছি, দেশে এবার ইলিশের উৎপাদন সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, চাঁদপুরে জাটকা রক্ষা কর্মসূচিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু লোকবল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে এবারও কিছু জেলে নদীতে নেমে রাতের অন্ধকারে জাটকা ধরেন। প্রশাসন তাঁদের ধরার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে।