বছিলার দুই জঙ্গির পরিচয় মেলেনি, মামলা

মেট্রো হাউজিংয়ে এই বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালায় র‍্যাব। ছবি: র‌্যাবের সৌজন্যে
মেট্রো হাউজিংয়ে এই বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালায় র‍্যাব। ছবি: র‌্যাবের সৌজন্যে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলার মেট্রো হাউজিং এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। র‌্যাবের দাবি, নিহত দুজন ভ্যানগাড়ির চালক পরিচয় দিয়ে বছিলার ওয়াহাব নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নেন। র‌্যাবের ধারণা, তাঁরাই গতকাল সোমবার ওই বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা গেছেন। তাঁরা কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

ছদ্মনামে তাঁরা বাড়ির একটি কক্ষ মাসে দেড় হাজার টাকায় ভাড়া নেন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাস দমন আইন এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় নিহত দুই ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

র‌্যাব–২–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত দুজনের বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছর। তবে আঙুল পুড়ে যাওয়ার কারণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া যায়নি। সিআইডি তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। আশা করা যায়, দ্রুতই দুজনের পরিচয় জানা যাবে।

র‌্যাব–২–এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, ভাড়া নেওয়ার সময় কোনো পরিচয়পত্র দুই যুবক মালিককে দেননি। এ ঘটনায় আটক বাড়ির মালিক ওয়াহাব, মসজিদের ইমাম ইউসুফ, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক সোহাগ ও সোহাগের স্ত্রী মৌসুমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে জানা গেছে, দুই যুবক একজন আরেকজনকে সুজন ও সুমন নামে ডাকতেন। তবে তাঁরা যে ঘরে থাকতেন, সেখানে কাউকে যেতে দিতেন না।

রায়েরবাজার বধ্যভূমির ঠিক পেছনে র‍্যাব-২-এর নতুন সদর দপ্তর থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে বছিলার মেট্রো হাউজিং এলাকায় ওই বাড়ি অবস্থিত। একতলা টিনশেডের বাড়িটির ঠিক পাশে একটি দোতলা ভবন রয়েছে। বেশির ভাগ প্লট ফাঁকা। কিছু বাড়ি নির্মাণাধীন। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে বাড়িটি ঘেরাও করে র‌্যাব। পরে গতকাল সকালে বাড়িটির ভেতরে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার পরপর বাড়িটি ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে র‍্যাব। পরে ওই বাড়ির ভেতর দুজন ‘জঙ্গির’ ছিন্নভিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।