ফেনীতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকসহ দুই মাদ্রাসাশিক্ষক বরখাস্ত

ফেনীর দাগনভূঞায় মাদ্রাসাছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকসহ দুই মাদ্রাসাশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাগনভূঞা উপজেলার দেবরাপুর গ্রামে হাজী জালাল আহম্মদ এবতেদায়ি মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরি সভায় তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।

মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের কোষাধ্যক্ষ মো. আইয়ুব আলী বলেন, সম্প্রতি মাদ্রাসার দুই ছাত্রীর শরীরে হাত দেন আবদুর রহমান নামের এক শিক্ষক। ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকেরা বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হারুন উর রশিদের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অবহিত হয়েও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহম্মদ উল্যা, সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুছসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠকে বসেন। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ছাত্রীর শরীরে হাত দেওয়ার বিষয়টি জানানোর পরও কেন প্রধান শিক্ষক কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি, সে কারণে সভায় প্রধান শিক্ষক হারুন উর রশিদকেও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক আবদুর রহমান বলেন, বেত না থাকায় তিনি ওই দিন শিক্ষার্থীদের হাত দিয়েই শাসন করেছেন। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে গায়ে হাত দেওয়া হয়নি।