সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ বিল ৬৪ হাজার টাকা, পরের মাসে ১২০

সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল ছিল ৬৪ হাজার ১৮৪ টাকা। ঠিক তার পরের মাসের বিল আসে ১২০ টাকা। অবিশ্বাস্য হলেও সম্প্রতি এমনই এক ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল এসেছে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের নামে। অভিযোগের পর অবশ্য বিষয়টি সংশোধন করে দিয়েছে মাগুরা বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।

গত মার্চ মাসে একটি বিদ্যুৎ বিল আসে মাগুরা সদর উপজেলার নামে। যেখানে ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিল বকেয়া ছিল। এই এগারো মাসে বকেয়া দেখানো হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার ১০৭ টাকা। এর মধ্যে জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুতের মূল্য দেখানো হয় যথাক্রমে ৫৩ হাজার ৪০৪, ৪৬ হাজার ৩২০ ও ৬৪ হাজার ১৮৪ টাকা। কিন্তু পরের দুই মাসের বিল ছিল ১২০ টাকা করে। বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংক চেকও তৈরি করা হয় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে।

এরপর বিলটি যাচাই–বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয় ওজোপাডিকোতে। এরপর বিষয়টি যাচাই–বাছাই করে সংশোধিত একটি বিল পাঠায় ওজোপাডিকো। সেখানে দেখা যায়, পুরো এই ১১ মাস মিলে মোট বিলই এসেছে ৬৭ হাজার ৪৫৬ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান জানান, একটি বড় ধরনের ভুল বলে ধরা পড়েছে। বিলের পরিমাণ কম হলে চোখ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সে ক্ষেত্রে সরকারের অর্থ গচ্চা যেত।

সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকেও এ ধরনের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে। বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, মিটার রিডিং না দেখেই অনেক সময় বিল তৈরি করা হয়। বিষয়টি অবশ্য স্বীকার করছে না ওজোপাডিকো।

মাগুরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কিছু জায়গায় জনবল–সংকট থাকলেও বিল তৈরির লোকের সংকট নেই। এরপরও এ ধরনের অভিযোগ মাঝেমধ্যে আসে স্বীকার করে এ প্রকৌশলী বলেন, অনেক বিল একসঙ্গে কম্পিউটারে ইনপুট দেওয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যায়। সদর উপজেলার ওই বিলের ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে বলে জানান তিনি।