সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ৩

সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ির পশুরতলা ভারানী এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা বনদস্যু বলে র‌্যাব দাবি করেছে। র‌্যাব সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় জেলেরা প্রাথমিকভাবে লাশ শনাক্ত করেছেন। তাঁদের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সুন্দরবনের সাইজ্জ্যা বাহিনীর প্রধান মাহাবুব ওরফে সাইজ্জা (৪০) ও আমজাদ বাহিনীর প্রধান আমজাদ (৪২)। অন্যজন অজ্ঞাতনামা (৩০)। র‌্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর সাব্বির রহমান ওসমানী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জেলেরা দুটি লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি। লাশ, উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সাব্বির রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে র‌্যাবের একটি দল নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে সুন্দরবনের পশুরতলা ভারানী এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় গোলবনের ভেতরে মানুষের চলাফেরা টের পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ করেন। তাঁরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শুরু হয়। ভোর ছয়টা ৫০ মিনিট থেকে সোয়া সাতটা পর্যন্ত প্রায় ২৫ মিনিট ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। একপর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটলে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে তিনটি মৃতদেহ, ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু গুলি উদ্ধার করেন। উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, দুটি দশমিক ২২ বোর রাইফেল, চারটি একনলা বন্দুক, একটি দোনলা বন্দুক, একটি ৯ এমএম পিস্তল, একটি দেশি পিস্তল ও দুটি এয়ারগান, একটি ম্যাগাজিন, বন্দুকের ২১টি, পিস্তলের দুটি এবং এয়ারগানের এক বাক্স গুলি। শ্যামনগর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) তারক বিশ্বাস বলেন, তিনজনের লাশ ও অস্ত্র-গুলি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত ব্যক্তিরা বনদস্যু। তবে ভয়ে কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে আসে না।