বন্ধুর ডাকে গিয়ে গ্রামবাসীর মারধরের শিকার জাবির ৫ শিক্ষার্থী

বন্ধুর ডাকে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী গ্রামবাসীর মারধরের শিকার হয়েছেন। তাদের সঙ্গে মারধরের শিকার হয়েছেন ওই বন্ধুও। গতকাল রোববার রাতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সবুজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন বাংলা বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম এবং নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আরিফ মেহেদী, রেদোয়ান মাহফুজ, ক্যামেলিয়া শারমিন, দীপঙ্কর বড়ুয়া ও রিশা আইরিন।

শিক্ষার্থী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করছেন জেনে এক শিক্ষার্থী সেই বিয়ে থামাতে বন্ধুদের সহযোগিতা চান। বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাঁচ বন্ধু গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর তাড়াশের বাড়িতে যান। রাতে বন্ধুর বাবার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি স্থানীয় গ্রামবাসীকে ডেকে তাদের দিয়ে সন্তানের বন্ধুদের মারধর করান। তাদের মারধরের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর সন্তানও। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ ঘটনা জানাজানি হলে আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা হয় এবং শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিকেলে বলেন, দুপুরে ছয় শিক্ষার্থীকে ঢাকাগামী বাসে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ওই বাবা বলেন, ‘আমার স্ত্রী (৬০) পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শয্যাশায়ী। আমি নিরুপায় হয়ে দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা করছি। বিষয়টি জানতে পেরে আমার সন্তান তার বন্ধুদের ডেকে এনে আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।’ তবে সন্তানের দাবি, তাঁর বাবা অসুস্থ স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবর রাখার বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীন। সম্প্রতি তিনি দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নেন। এ অবস্থায় বাবাকে বোঝাতে তিনি তাঁর বন্ধুদের ডেকে এনেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা তাঁকে ও বন্ধুদের গ্রামের মানুষ দিয়ে মারধর করে অন্যায়ভাবে পুলিশের হাতে তুলে দেন।