পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে পরিদর্শককে অব্যাহতি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে একজন কক্ষ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার গণিত দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর কেন্দ্রের ১০২ নম্বর কক্ষের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পরিদর্শক জর্জিসুর রহমানকে (তাজু) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মারধরের শিকার পরীক্ষার্থীর নাম সজীব কুমার রায়। তিনি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পরিদর্শকের মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়া সজীবকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের বিবরণ অনুযায়ী, সোমবার পরীক্ষা শেষে ১০১, ১০২ ও ১০৩ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার্থীরা একসঙ্গে কক্ষ থেকে বের হতে থাকেন। বেলা সোয়া একটার দিকে ১০২ নম্বর কক্ষের পরিদর্শক জর্জিসুর রহমান তাজু অজানা কারণবশত ওই কক্ষ থেকে বের হওয়া কয়েকজন পরীক্ষার্থীর ওপর হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে সজীব কুমার রায়কে কম্পিউটার ল্যাবে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে মারধর করতে থাকেন ওই পরিদর্শক। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দরজার বাইরে থেকে প্রতিবাদ জানালে সজীবকে কক্ষ থেকে বের করে দেন পরিদর্শক। অসুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে এলে সজীবকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন অন্য পরীক্ষার্থীরা।

এরপর কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে সোমবার বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হাম্মাদুল বারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কক্ষ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সোমবার বিকেলেই পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পীরগঞ্জ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছেও অভিযোগের কপি দিয়েছেন প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডব্লিউএম রায়হান শাহ প্রথম আলোকে বলেন, মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম কামালউদ্দীনকে আহ্বায়ক ও চন্দরিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলামকে সদস্য করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে পীরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম কামালউদ্দীন বলেন, ‘কলেজের সভাপতির নির্দেশে ১০২ নম্বর কক্ষের পরিদর্শক ও চন্দরিয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জর্জিসুর রহমানকে (তাজু) পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে মারপিটের কারণ জানা যাবে।’