পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৩

সড়কে থামছে না মৃত্যুর মিছিল। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পৃথক চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।

ঝিনাইদহ: সদর উপজেলার কাস্টসাগরা ও পলিটেকনিক এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ ছাত্র নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার কাস্টসাগরা গ্রামের রাব্বুল হোসেন (১৮) ও ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকার উল্লাস হোসেন (১৫)।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহর থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন কলেজছাত্র রাব্বুল হোসেন ও তাঁর বন্ধু রিয়াজ মোর্শেদ। পথে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের কাস্টসাগরা এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি রাস্তায় ছিটকে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বুল মারা যান। একই সড়কের ঝিনাইদহ পলিটেকনিক এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র উল্লাস নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

গোয়ালন্দ: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে লোকাল বাসের ধাক্কায় সঞ্জয় রায় (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি গোয়ালন্দ পৌরসভার নগর রায় পাড়ার রজব রায়ের ছেলে। সঞ্জয় শহরের একটি পোল্ট্রি খামারে শ্রমিকের কাজ করতেন।

গোয়ালন্দের এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সঞ্জয় খামারে ডিউটি পালনের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় এলাকায় পৌঁছামাত্র দৌলতদিয়া ঘাটগামী একটি লোকাল বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে ছিটকে মহাসড়কের ওপর গিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ মোড় আহ্লাদিপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ বাসটি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে আটক করে। চালক পলাতক রয়েছে।

বগুড়া: বগুড়া-নওগাঁ সড়কের দুপচাঁচিয়ার বাজারদীঘি নামক স্থানে আজ মঙ্গলবার ভোরে একটি দূরপাল্লার বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় একজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত আরিফ শেখ (৩২) বাসের হেলপার ছিলেন। তিনি নওগাঁর রানীনগরের ভবানিপুর গ্রামের রহিদুল শেখের ছেলে। আহতরা হলেন একই জেলার আত্রাইয়ের আলতা বেগম (৩৫), মান্দার শাহনাজ বেগম (৩০) ও বগুড়ার শেরপুরের সুভাষ রায় (৫০)।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, আরবি ট্রাভেল নামের বাসটি ঢাকা থেকে নওগাঁর দিকে যাচ্ছিল। বাজারদীঘি বাসস্ট্যান্ডের অদূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে বাসটির। ঘটনাস্থলেই হেলপার আরিফ মারা যান। বাসটির সামনের অংশে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।