শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খামারগাঁও গ্রামে মো. তাসলিমা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে খবর পেয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, তাসলিমা আক্তার উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামের জুমন মিয়ার (২৬) স্ত্রী। জুমন মিয়া জানান, গত পাঁচ মাস আগে তিনি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বটছড়া গ্রামের মঞ্জু মিয়ার কন্যা তাসলিমাকে বিয়ে করেন। দুই দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে আনেন তিনি। তাসলিমার এটি প্রথম বিয়ে ও জুমন মিয়ার দ্বিতীয়।

জুমন মিয়ার প্রতিবেশীরা বলেন, জিনসের প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা তাসলিমার লাশ জুমনের ঘরে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জুমন জানান, তিনি মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে খড় শুকানোর জন্য আবার বাড়ি ফিরে এসে বসতঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ওপরের ফাঁক দিয়ে হাত প্রবেশ করিয়ে ছিটকিনি আলগা করে দরজা খুলে তাসলিমাকে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন তিনি।

ধান কাটার কাঁচি দিয়ে রশি কেটে তাসলিমাকে নিচে নামান জুমন। এ সময় তাসলিমা ঢেকুর দিয়ে উঠলে তিনি তাঁকে জীবন্ত মনে করে মাথায় পানি ঢালেন ও পুকুরে নিয়ে শরীর ভিজিয়ে দেন। পরে ঘরে এনে পরনের কাপড় পাল্টে নিজের জিনসের প্যান্ট ও গেঞ্জি স্ত্রীকে পরিয়ে দেন।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু তালেব বলেন, ‘আমি এসে তাসলিমার লাশ বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাই। জুমন মিয়ার বক্তব্য অনেকটা অসংলগ্ন বলে মনে হচ্ছে। তাসলিমার বাবার বাড়ি কুলিয়ারচরে খবর পাঠানো হয়েছে।’

নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য তাসলিমার লাশ কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।