মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তির অভিযোগে আ.লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

অভিযুক্ত হোসাইন মোশারেফ সাকু। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত হোসাইন মোশারেফ সাকু। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকুর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

বিচারক আল ফয়সাল মামলাটি গ্রহণ করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) সিদ্দিকুর রহমানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মে দিবস উপলক্ষে ১ মে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে স্থানীয় ইমারত শ্রমিক ইউনিয়ন। সমাবেশে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারাসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা যোগ দেন। এর পরের দিন একই জায়গায় মে দিবস উপলক্ষে আরেকটি সমাবেশের আয়োজন করে ইমারত নির্মাণ ও হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু আগের দিনের সমাবেশে যোগ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করেন ও অশালীন বক্তব্য দেন। সুযোগ পেলে সেই মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করে বহিষ্কার করার কথাও বলেন তিনি।

হোসাইন মোশারেফ সাকুর এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে হোসাইন মোশারেফ সাকুর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবর রহমান মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার সাক্ষী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘১ মে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজকেরা আমাদের দাওয়াত দেওয়ায় আমরা সেখানে যাই। কিন্তু ২ মে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে আমাদের কেউ দাওয়াত দেয়নি। ১ মের সমাবেশে যোগ দেওয়ার কারণে হোসাইন মোশারেফ সাকু ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলেন। আমরা এতে অসম্মানিত বোধ করায় মানহানির মামলা করি।’

অভিযুক্ত হোসাইন মোশারেফ সাকু বলেন, ‘মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি সেভাবে বক্তব্য দিইনি। আমি বলেছি আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অমুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব।’