যাত্রাবাড়ীতে গ্রেপ্তার আনসার আল ইসলামের তিনজন রিমান্ডে

মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি
মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) তিন সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

তিন আসামি হলেন বাগেরহাটের সাইফুল্লাহ (২৬), কুমিল্লার ফয়জুল্লাহ (১৮) ও পটুয়াখালীর জহিরুল ইসলাম (১৯)। একই মামলায় গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই দুজন হলেন সাতক্ষীরার আবদুল আলীম (২২) ও নোয়াখালীর মাইনুদ্দিন সজিব (১৯)।

গত ৩০ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডেটোনেটরসহ এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ। এই ঘটনায় কাউন্টার টেররিজমের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে এই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, আসামিরা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য এই পাঁচজনসহ ১০ থেকে ১২ জন গত ৩০ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীর ছনটেক এলাকায় মিলিত হন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া আসামিদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন রাসেল, ইব্রাহীম ও আলামিন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার করার পরদিন ১ মে পাঁচজনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে কাউন্টার টেররিজম বিভাগ। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য প্রত্যেক আসামির ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক কামরুজ্জামান আদালতকে লিখিতভাবে এক প্রতিবেদন দিয়ে জানান, আসামিরা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা অ্যাপসের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। ঢাকায় জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য এই পাঁচ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

আদালত শুনানি নিয়ে ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য প্রত্যেক আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ আজ মঙ্গলবার আদালতে এক প্রতিবেদন জমা দেয়। পুলিশের ওই প্রতিবেদন বলছে, আসামিরা আনসার আল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করেছেন। আসামিরা অত্যন্ত চতুর এবং ধূর্ত। তাঁরা প্রায় সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন।