এখনো সেতু গড়ে দেন জাহিদুল

জাহিদুল ইসলাম
জাহিদুল ইসলাম

বাড়ির কাছে খাল। সেই খাল সাঁতরে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে হতো জাহিদুল ইসলামকে। বয়স তখন ১২। বাড়িতে একটি পুরোনো নৌকা ছিল। এক পর্যায়ে সেই নৌকায় সহপাঠীদের নিয়ে খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতেন তিনি। কিন্তু খাল পারাপারে প্রতিবেশীর কষ্ট দেখে খারাপ লাগত তাঁর। ভাবলেন, খালের ওপর একটা বাঁশের সেতু হলে এত কষ্ট হতো না। মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বললেন জাহিদুল। সবাই সায় দিলেন। এরপর পাড়া-প্রতিবেশীরা মিলে খালের ওপর বাঁশের সেতু বানালেন।

এটা ৪০ বছর আগের কথা। এখন জাহিদুলের বয়স ৫২। আজও থামেননি তিনি। বাঁশের সেতু বানিয়ে চলেছেন বগুড়াসহ আশপাশের জেলায়। এই জীবনে কত সেতু বানিয়েছেন, এই প্রশ্ন প্রায়ই শুনতে হয় তাঁকে। তাই ব্র্যাকের দেওয়া একটি ডায়েরিতে ২০১২ সাল থেকে সেতুর হিসাব লিখে রাখছেন তিনি। সেই খাতায় ১৯৭টি স্থানে বাঁশ ও কাঠের সেতু তৈরির কথা আছে। এর মধ্যে ২০১২ সালের আগে তিনি যেসব সেতু বানিয়েছেন, তার যতগুলো মনে করতে পেরেছেন, সেগুলোর কথাও লিখে রেখেছেন। তবে জাহিদুলের বক্তব্য, গত ৪০ বছরে ৪৫০ থেকে ৫০০ সেতু তৈরি করেছেন তিনি। আগে তো হিসাব লিখে রাখতেন না। অনেক সেতু নির্মাণের দু-তিন বছর পর নষ্টও হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় সেতু নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে কালভার্ট বা পাকা সেতু হয়েছে।

জাহিদুল ইসলামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হলিদাবগা গ্রামে। গত বর্ষায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের ইছামতী নদীর ওপর বঠিয়াভাঙ্গা গ্রামবাসীর পারাপারের জন্য তাঁদের সঙ্গে নিয়ে তিনটি বাঁশের সেতু তৈরি করে দেন জাহিদুল।

নদী-খাল পারাপারে মানুষের দুর্ভোগের কথা জানতে পারলেই ছুটে যান জাহিদুল। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বাঁশ-কাঠের সেতু বানিয়ে ফেলেন। আবার কোনো কোনো এলাকার মানুষ নিজেরাই খবর দেন জাহিদুলকে। নিজের পুরোনো সাইকেল ঠেলে হাজির হন তিনি।

‘সেতু দরকার? আছেন জাহিদুল’ শিরোনামে ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বর প্রথম আলোয় ছাপা হয়েছিল জাহিদুলের সেতু বানানোর গল্প। তাঁর বানানো সেতু গ্রামে গ্রামে মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ ঘুচিয়ে চলেছে। গড়েছে এক গ্রামের সঙ্গে অন্য গ্রাম, এক এলাকার সঙ্গে অন্য এলাকার সেতুবন্ধ।

সোনাতলার দিগদাইর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী তৈয়ব শামিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাহিদুল অন্য রকম মানুষ। অন্যের বিপদে ছুটে যান, শ্রম-অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। আমার ধারণা, এ পর্যন্ত তিনি অন্তত ৪৫০টি বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছেন। কয়েক দিন আগেও পার্শ্ববর্তী নূরা-পটল গ্রামে একটি সেতু বানিয়েছেন।’

জাহিদুল বহু বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন। কন্যাদায়গ্রস্ত মা-বাবাকে অর্থ-সহায়তা করেন। অভাবী মানুষকে ওষুধ কিনে দেন। সড়কের পাশে গাছ লাগান। চেয়ারম্যান আলী তৈয়ব তাঁকে ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য পদে রেখেছেন।

গাবতলীর বঠিয়াভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ফটু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইছামতী নদীর ওপর একটা সেতুর জন্য যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের দুর্ভোগ দেখে জাহিদুল একদিন গ্রামে এসে বাঁশ ও কাঠের সেতু নির্মাণের কথা বললেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেতু নির্মাণে লেগে পড়লেন। প্রতিদিন দীর্ঘ পথ সাইকেলে পাড়ি দিয়ে জাহিদুল নদীর ঘাটে আসতেন। নিজে শ্রম-ঘাম দিয়ে ইছামতীর বুকে সেতু তৈরি করে দিলেন। সেতুতে চলাচল শুরুর দিন তিনি মিষ্টি খাওয়ার জন্য গ্রামের মানুষের হাতে ৫০০ টাকাও দিয়েছেন।’

গাবতলী উপজেলার প্রাচীন জনপদ দুর্গাহাটা বাজার। ইছামতী নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই বাজার থেকে আধা কিলোমিটার অদূরে বঠিয়াভাঙ্গা গ্রাম। ২৭ পাড়ার এই গ্রামে বসবাস প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের। আছে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি উচ্চবিদ্যালয়। প্রতিদিনই বঠিয়াভাঙ্গার মানুষকে নানা প্রয়োজনে আসতে হয় দুর্গাহাটা বাজারে। দুর্গাহাটা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী। বর্ষায় পানিতে টইটম্বুর থাকে ইছামতী। তখন বঠিয়াভাঙ্গাসহ আশপাশের আরও ১০ থেকে ১২টি গ্রাম অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ইছামতীর বুকে সেতু হওয়ায় বঠিয়াভাঙ্গা ছাড়াও কীর্ত্তনীয়া, চৌকিবাড়ি, ছাগলধরা, ডোমকান্দি, বরইকান্দি, সোনাতলা, বেতুয়ার কান্দি, ছাইহাটা, শীলদহবাড়ি, ঠাকুরবেড়সহ ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষের নদী পারাপারে ভোগান্তির অবসান হয়েছে।

জাহিদুল ইসলাম গাবতলী উপজেলার টিওরপাড়া-সর্ধনকুটি গ্রামের মানুষের পারাপারের জন্য গজারিয়া খালের ওপর দুটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছেন। বাজারঘাট, স্কুল-কলেজ, ঈদগাহ মাঠে যাতায়াত করতে সর্ধনকুটি গ্রামের লোকজনকে টিওরপাড়ায় আসতে হয়। আবার টিওরপাড়া গ্রামের লোকজনের জমি চাষাবাদের জন্য সর্ধনকুটি মাঠে যেতে হয়। বর্ষায় সর্ধনকুটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা খাল সাঁতরে টিওরপাড়ায় আসে।

সর্ধনকুটি গ্রামের শাহিদুল ইসলাম বলেন, টিওরপাড়া গ্রামেরই বাসিন্দা বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সাবেক সাংসদ আলতাফ আলী। তাঁর কাছে গ্রামবাসী একটা পাকা সেতুর আবদার করেছিলেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে জাহিদুলকে নিয়ে নিজেরাই বাঁশের সেতু নির্মাণ করছেন।

সরেজমিন দেখা গেল, শাবল হাতে জাহিদুল খালে খুঁটি পুঁতছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নদী-খাল-বিল পারাপারে সমস্যা হলে এলাকাবাসী তাঁকে খবর পাঠান। সবাইকে সঙ্গে তিনি সেতু তৈরি করে দেন। মানুষ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলে তাঁর অন্য রকম ভালো লাগে।

গত এক মাসে বগুড়ার গাবতলী, শাজাহানপুর, সোনাতলা, শিবগঞ্জ ও সারিয়াকান্দি উপজেলা ঘুরে জাহিদুলের বানানো ২৯টি বাঁশের সেতু দেখা গেছে। তিনি এখন শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সুজাবাদ-বালাপাড়া গ্রামের লোকদের নিয়ে করতোয়া নদীর ওপর বাঁশের সেতু বানাচ্ছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহীনুর বেগম বলেন, গ্রামে ছয় হাজার মানুষের বাস। শস্য-সবজি বিক্রিসহ নানা প্রয়োজনে ওপারের দুবলাগাড়ি হাটে যেতে হয়। পাকা সেতুর জন্য নানা জায়গায় ধরনা দিয়েও কাজ হয়নি। নদী পারাপারে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু তৈরি করে দিতে জাহিদুল নিজে থেকেই যোগাযোগ করেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে গ্রামবাসী কাজে লেগে পড়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সাজাহান আলী বলেন, অন্য উপজেলার একজন মানুষ শ্রম–ঘাম দিয়ে সেতু তৈরি করে দিচ্ছেন। এ এক অনন্য উদ্যোগ।

নিজে তেমন সচ্ছল নন জাহিদুল। তিনি জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বিঘা চারেক আবাদি জমিতে চাষাবাদ করে তাঁর সংসার চলে। সারা বছর সেতু বানাতে ছোটাছুটি করায় নিজের চাষাবাদ বা সংসারে ভালোভাবে নজর দিতে পারেন না। সংসার দেখভাল করেন তাঁর স্ত্রী শাহীন বেগম। তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনা আর সংসার মূলত স্ত্রীর কাঁধে।

জাহিদুলের বড় ছেলে ইসরাফিল ইসলাম বগুড়ার সরকারি মুস্তাফাবিয়া মাদ্রাসা থেকে এ বছর আলিম পরীক্ষা দিচ্ছেন। আরেক ছেলে বায়েজিদ বোস্তামী গাবতলীর সৈয়দ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। ছোট মেয়ে তাবাসসুম আকতার স্থানীয় কর্পূর দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে।

জাহিদুল জানান, ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয় একেকটি সেতুতে। এই টাকার জোগান দেন গ্রামবাসী। কেউ বাঁশ দেন, কেউ সুতলি, কেউ লোহা। জাহিদুল বলেন, ‘প্রতিটি সেতু তৈরিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে সামান্য টাকা দিই। নিজে গায়ে-গতরে খাটি, নেতৃত্ব দিই। সেতু তৈরির ফাঁকে বাড়ি বাড়ি নলকূপ বসানোর কাজও করি। সেখান থেকে যে আয় হয়, তার একটা অংশ সেতু তৈরিতে ব্যয় করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কোনো সময় একসঙ্গে দু-তিনটি সেতু বানানোর কাজ চলে। প্রতি মাসে গড়ে একটির বেশি সেতুর কাজ থাকে। ৪০ বছরে বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ৪৫০ থেকে ৫০০ বাঁশের সেতু তৈরি করেছি। এখন বেশির ভাগ বাঁশের সেতুর জায়গায় পাকা সেতু হয়েছে।’

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান বলেন, তাঁর উপজেলার পুনট-আটমুল সড়কের নুনগোলা খালে ২০০৭ সালে জাহিদুল বাঁশের সেতু বানিয়ে দিয়েছিলেন। পরে সেখানে পাকা সেতু হয়েছে। জাহিদুল এ উপজেলায় আরও পাঁচ-ছয়টি বাঁশের সেতু তৈরি করেছিলেন। জয়পুরহাটের আমদই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বলেন, তাঁর এলাকার হাঁটুভাঙ্গা ও শিরট্রি গ্রামে তুলসীগঙ্গা নদী পারাপারে দুটি সেতু তৈরি করেছিলেন সোনাতলার জাহিদুল। এখন সেখানে পাকা সেতু হয়েছে।

জাহিদুল বলেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় করতোয়া নদীর ওপর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের খুলসিতে কাটাখালী নদী, সাঘাটা উপজেলার হায়াতপুরে বাঙালী নদী, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জায়গীরহাটে মোদিপুর খাল, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ডাকাতমারা চরের গুচ্ছগ্রামে যমুনার শাখাখালে বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছেন।

জানতে চাইলে বগুড়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুফিয়া নাজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোনাতলার জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু নির্মাণ করে দেন বলে জেনেছি। গ্রামেগঞ্জে এখনো অনেক খাল রয়েছে, যেখানে পাকা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সেখানে স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশের সেতু নির্মাণ করে দিচ্ছেন জাহিদুল। এটা দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত।’

সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান বলেন, জাহিদুল সোনাতলার গর্ব। বিভিন্ন এলাকায় খাল-নদী পারাপারে সেতু নির্মাণ ছাড়াও নানা সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

জাহিদুল ইসলাম রাস্তার পাশে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদের আঙিনায়, সরকারি জায়গায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার তালগাছের চারাসহ ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছ লাগিয়েছেন। দিগদাইর ইউপির চেয়ারম্যান আলী তৈয়ব জানান, জাহিদুল নিজ খরচে এসব গাছ লাগিয়েছেন।

কোথাও বাল্যবিবাহের খবর পেলে ছুটে যান জাহিদুল। মা-বাবাকে বুঝিয়ে শিশুকন্যাকে বিদ্যালয়ে পাঠান। আবার দরিদ্র কন্যাদায়গ্রস্ত মা-বাবার প্রতি সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতার হাতও বাড়ান তিনি।

স্থানীয় এই ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বছরখানেক আগে দিগদাইর গ্রামের বাবু মিয়া তাঁর পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে জাহিদুল মা-বাবাকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। মাসখানেক আগে কর্পূর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেন তিনি। দিগদাইর গ্রামের আকালু মিয়া টাকার অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না। জাহিদুল অর্থসাহায্য দিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।

জাহিদুলের স্ত্রী শাহীন বেগম বাড়ির উঠানে বসে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থাভাবে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠে জাহিদুলকে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে। সংসারের কাজেও তেমন মন নেই। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরপরও লোকটা ধান-চাল, ছাগল বিক্রি করে অন্যের মেয়ের বিয়ের খরচ দিচ্ছে, কোনো গ্রামে সেতুর জন্য মানুষ কষ্ট করছে জেনে বাজার খরচের টাকায় বাঁশ কিনে নিয়ে গিয়ে হাজির হচ্ছে। বাজার করতে গিয়ে সওদাপাতির বদলে গাছ কিনে রাস্তায় লাগাচ্ছে। তার এসব কাজে ত্যক্ত-বিরক্ত হই। আবার এলাকার লোকজন তাঁকে সাদামনের মানুষ বলে যখন ডাকে, তখন খুব ভালো লাগে।’