বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড

পিডিবি দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি জিরো লেভেলে নামিয়ে আনতে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে। ছবি: বাসস
পিডিবি দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি জিরো লেভেলে নামিয়ে আনতে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে। ছবি: বাসস

সারা দেশে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে দেশবাসীকে স্বস্তি দিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার দেশে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, পিডিবি সারা দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি জিরো লেভেলে নামিয়ে আনতে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুতের বর্তমান চাহিদা মেটাতে আমরা সক্ষম। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে দিনের পিক আওয়ারে আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন কয়েকটি প্রকল্পে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুৎ আরও স্থিতিশীল হবে। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন ২৪ হাজার মেগাওয়াট করে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। আমরা আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ২০২০ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাবে। সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন সম্প্রসারণ করেছে।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, ২৫ এপ্রিল উৎপাদিত হয়েছিল ১২ হাজার ৬৭ মেগাওয়াট এবং ২৪ এপ্রিল উৎপাদিত হয়েছিল ১২ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।