সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতি, শিশুসহ ১২ রোহিঙ্গা উদ্ধার

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতির সময় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা থেকে ১২ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার পানিরছড়া বারঘরপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ১২ জনের মধ্যে ৫ জন করে ১০ জন নারী-পুরুষ ও ২ শিশু রয়েছে।

এ ছাড়া অভিযান চালানোর সময় কবির আহমদ (৪৫) নামে মানবপাচারকারী দলের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার ১২ রোহিঙ্গা উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে বাস করতেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মহেশখালী থানা-পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকালে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে দুই শিশুসহ ১২ রোহিঙ্গাকে নৌকাযোগে মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। রোববার ভোরে মাছ ধরার নৌকায় করে তাদের মালয়েশিয়ায় পাচার করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর প্রথম আলোকে বলেন, রোববার ভোরে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চার মানব পাচারকারী মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে জড়ো করে। খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত রাত তিনটায় উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া বারঘরপাড়া পাহাড়ি এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। পরে মানবপাচারকারী দলের সদস্য কবির আহমদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২ শিশুসহ ১২ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে কবির আহমদকে আটক করে। এ ঘটনায় জড়িত কবির আহমদসহ চার মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কবিরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২ মাসে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টার সময় মহেশখালীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪৯ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের রোহিঙ্গা শিবিরে হস্তান্তর করা হয়।