দুই মণ ধানের দামে ১ কেজি ইলিশ!

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুর জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার উৎসব। ফলনও এবার মোটামুটি ভালো। তবে ধানের দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট কৃষক। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাটে বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা মণ দরে। অথচ ওই এলাকার বাজারে এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছের দাম ১ হাজার ১০০-১ হাজার ২০০ টাকায়।
মেঘনা নদীতে এখনো পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে লক্ষ্মীপুর জেলার হাট-বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। অল্প কিছু বড় ইলিশ বাজারে আসলেও তা অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০-১ হাজার ২০০ টাকায়।
এদিকে জেলার পাঁচটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৭ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠেছে না। আর এ কারণে দুই মণ ধানে দামে বিক্রি হচ্ছে এক কেজি ইলিশ।
রায়পুর উপজেলার চরপাতা এলাকার কৃষক হানিফ দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ২০ শতাংশ জমিতে ধান আবাদ করেছেন তিনি। সেচ, সার, ওষুধ ও কাটাসহ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে আট হাজার টাকা। জমিতে ধান পেয়েছেন ১২ মণ। হাটে এ ধানের দাম আছে সাড়ে ছয় হাজার থেকে সাত হাজার টাকা। যোগ-বিয়োগ করলে কিছুই লাভ নেই।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. ফরহাদ জানান, গত বছর এ সময়ে চার কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হয়েছিল আড়াই হাজার টাকায়। আর এ বছর ওই ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজর ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়। তাও পর্যাপ্ত বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, নদীতে পানি বাড়লে ও ভারী বৃষ্টি হলে ইলিশ বেশি ধরা পড়বে। আর বড় ইলিশের চাহিদা বেশি। এ কারণে দাম বেশি।
জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বেল্লাল হোসেন খাঁন বলেন, কৃষক বোরো ধানের আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। সরকারি ভাবে এবং চালের মিল মালিকেরা ধান কেনা শুরু করলে দাম বেড়ে যাবে।