অচল পড়ে আছে সেতুটি

যানবাহন চলাচল নেই। সেতুর ওপর ধান শুকাচ্ছেন এলাকাবাসী।  প্রথম আলো
যানবাহন চলাচল নেই। সেতুর ওপর ধান শুকাচ্ছেন এলাকাবাসী। প্রথম আলো

সেতুটি ২০০৬ সালে নির্মিত। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়কের কারণে এক যুগ ধরে কোনোই কাজে আসছে না সেতুটি। মানুষ সেতুর ওপর ধান–পাট শুকাচ্ছে।

নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের উলুহাটি-কালীগঞ্জ সড়কের মাঝখানে সেতুটির অবস্থান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০০৬ সালের সুকাইজুড়ি নদীর ওপর ৫৪ দশমিক ৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ও প্রায় ৭ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয় ৬৮ লাখ ৭ হাজার টাকা।

গত শুক্রবার উলুহাটি-কালীগঞ্জ নামের এ সড়কে ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে কোনো পথচারীকে চলাচল করতে দেখা যায়নি। কয়েকজন নারী-পুরুষকে সেতুর ওপরে ধান মাড়াই করে শুকাতে দেখা যায়। তাঁদের একজন বলেন, সেতুর পাটাতন সমান। তাই ধান মাড়াই ও শুকানোর জন্য উপযুক্ত স্থান। পথচারী ও যানবাহন চলাচল না করায় আশপাশের গ্রামের লোকজন পালা করে সেতুর পাটাতন ও রেলিংয়ে ধান-পাট শুকাতে দেন।

সেতুটির আড়াআড়ি ও সড়কের দুই পাশে সুকাইজুড়ি নদী ও বিশাল বিল রয়েছে। বর্ষাকালে দুই পাশে থাকে বিশাল জলরাশি।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের মিয়া বলেন, ‘এখানে এলজিইডি নির্মিত একটি সড়ক রয়েছে, তা জানা ছিল না। আমি ভাঙাচোরা সড়কটি কাছাকাছি সময়ে পরিদর্শন করব। পরে সড়ক সংস্কার করার বিষয়ে কী করা যায়, তা ভেবে দেখব।’