খাজনার রসিদের প্রজ্ঞাপন সংশোধনের সুপারিশ

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

খাজনা দিতে গিয়ে কোনো ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহসিলদার) কারণে কৃষকেরা প্রতারিত হলে তহসিলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রেখে খাজনার রসিদ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করার সুপারিশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে একজন সদস্য বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানো ও ডিজিটাইজ করার কাজ চলছে। মাঠ পর্যায়ে অনেক জায়গায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের জন্য বদনাম হচ্ছে। অনেক সময় সাধারণ কৃষক তাদের কারণে হয়রানির শিকার হন এবং প্রতারিত হন। অনেক সময় কৃষকদের একাধিকবার কর দিতে হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অনেক সময় কৃষক তার জমির খাজনার চেক দেওয়ার পর কর্মকর্তাদের কারণে প্রতারিত হন। খাজনা দেওয়ার পরও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বদলি হলে নতুন কর্মকর্তা এসে বলেন, খাজনা দেওয়া হয়নি। এ জন্য সংসদীয় কমিটি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে সংশোধনী আনতে বলেছে। কোনো কর্মকর্তার এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে উপজেলা ভিত্তিক খাস খতিয়ান জমি, রাস্তার পরিমাণ, বেদখল নদীর জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে একটি তালিকা তৈরির সুপারিশ করা হয়।

মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, হাবিবর রহমান, আনোয়ারুল আজীম, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এবং আমিনুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন