শিবগঞ্জে মামিকে হত্যার পর ভাগনের আত্মহত্যা!

ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী
ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী

বগুড়ার শিবগঞ্জে মামিকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন ভাগনে। নিহত আলেয়া বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন ভাগনে আপেল মিয়া (২২)। আজ মঙ্গলবার উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের কৃষক ছাইদুল ইসলামের বাড়িতে ছোটবেলা থেকে তাঁর ভাগনে আপেল মিয়া থাকতেন। তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলেয়া বেগম বাড়ির উঠানে টিউবওয়েলে থালা-পাতিল ধোঁয়ার কাজ করছিলেন। এ সময় আলেয়া বেগমের সঙ্গে ভাগনে আপেল মিয়ার ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে আপেল মিয়াকে মামি গালিগালাজ করেন। ঘরে থাকা কাঠ কাটার বাটাল দিয়ে আলেয়ার ঘাড়ে ও গলায় আঘাত করেন আপেল। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনার পর এলাকার লোকজন ছুটে এলে আপেল দৌড়ে বাড়ির পাশের ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। পরে গ্রামের লোকজন আপেলকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি পরিত্যক্ত ঘরে পেট কাটা অবস্থায় তাঁর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। আপেল রায়নগরের টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস আগে আপেল তাঁর মামিকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন গ্রামের লোকজন বৈঠক করে আপেলকে সতর্ক করেছিলেন। তবে হঠাৎ আজ তাঁদের মধ্যে কী ঘটনায় ঝগড়ার সূত্রপাত হলো, তা কেউ বলতে পারছেন না।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে আলেয়া বেগমকে ধারালো বাটাল দিয়ে হত্যার পর ভাগনে আপেল আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।