১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চালকের সহকারী লালন মিয়া

শাহিনুর আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
শাহিনুর আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে গণধর্ষণের পর নার্স হত্যা মামলায় চালক নুরুজ্জামানের পর এবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাসের হেলপার লালন মিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল মামুনের আদালতে হাজির করা হলে শাহিনুরকে গণধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন লালন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ছাড়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার অপর তিন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৮ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ।

শাহিনুর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাজিতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান প্রথম আলোকে বলেন, হেলপার লালন মিয়া চালক নুরুজ্জামানের মতো একই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে লালন বলেছেন, তিনি, বাসের চালক ও অপর এক ব্যক্তি মিলে ধর্ষণের পর শাহিনুরকে বাস থেকে ফেলে দেন। এর আগে রোববার চালক নুরুজ্জামানও একই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুজন এখনো পলাতক।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, চালক নুরুজ্জামান ও তাঁর সহকারী লালন ছাড়াও ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরেকজন জড়িত আছেন। তাঁকে ধরতে পারলে পুরো ঘটনা পরিষ্কার হবে। এর আগে গত রোববার জবানবন্দিতে চালক নুরুজ্জামান বলেছিলেন, পলাতক তৃতীয় আসামিই প্রথমে ধর্ষণ করেছিলেন। তারপর একে একে বাসের চালক ও হেলপার ধর্ষণ করেন।

গত ৬ মে নিজ বাড়ি কটিয়াদীর বাহেরচরে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাজিতপুরের বিলপাড় গজারিয়া নামক স্থানে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন শাহিনুর। ঘটনার পরের দিন শাহিনুরের বাবা গিয়াস উদ্দিন চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে বাজিতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।