সেই কৃষকের ধান কেটে দিলেন শিক্ষার্থীরা

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বানকিনা গ্রামে ধান খেতে আগুন দেওয়া কৃষক আবদুল মালেক সিকদারের খেতের ধান আজ বুধবার কেটে দেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলো
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বানকিনা গ্রামে ধান খেতে আগুন দেওয়া কৃষক আবদুল মালেক সিকদারের খেতের ধান আজ বুধবার কেটে দেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পাকা ধানে আগুন দেওয়া সেই কৃষক আবদুল মালেক সিকদারের খেতের ধান কেটে দিয়েছেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে জেলার কয়েকটি কলেজের ১৫ জন শিক্ষার্থী বানকিনা গ্রামে গিয়ে কৃষকের খেতের ধান কেটে দেন।

ধান কাটার শ্রমিকের বেশি পারিশ্রমিক চাওয়া ও ধানের দাম কম হওয়ায় আবদুল মালেক ক্ষোভে-কষ্টে নিজের ধান খেতে ১২ মে আগুন দিয়েছিলেন। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে।

ধান কাটতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এবার টাঙ্গাইল অঞ্চলে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। অপরদিকে ধানের দাম কম। তাই কৃষকের অনেক কষ্ট। রাগে-ক্ষোভে কৃষক মালেক নিজের জমিতে পাকা ধানে আগুন দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতি, সব কৃষকের প্রতি সমবেদনা জানাতে ও তাদের দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে তাঁরা ধান কেটে দিতে এসেছেন। ধান কাটতে আসা শিক্ষার্থীরা সরকারি সা’দত কলেজ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ, লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজে লেখাপড়া করেন।

লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাফি জানান, প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং পরে গণমাধ্যমে ধান খেতে কৃষকের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবরটি জানতে পারেন। তাই মানবিক কারণে তাঁরা মালেক সিকদারের খেতের ধান কেটে দিতে এসেছেন।

মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, ‘কৃষকের পাশে এসে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’

কৃষক আবদুল মালেক বলেন, মনের দুঃখে তিনি পাকা ধানে আগুন দিয়েছিলেন। পরে এলাকার কৃষকেরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। শ্রমিকের চড়া মজুরি এবং ধানের দাম কম হওয়ার প্রতিবাদে তিনি খেতে আগুন দিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়ানোয় তিনি খুব আনন্দিত।