চাল আমদানির মাধ্যমে টাকা পাচারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে: মোশাররফ

খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফাইল ছবি
খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফাইল ছবি

ধান মজুত থাকার পরও কেন চাল আমদানি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তাঁর অভিযোগ, চাল আমদানির মাধ্যমে সরকার তাদের সমর্থক ব্যবসায়ীদের টাকা পাচারের সুযোগ করে দিয়েছে।

আজ শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ মন্তব্য করেন। বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে বিএনপি।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশ থেকে যারা টাকা বিদেশে পাচার করে দিতে চাচ্ছেন, তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চাল আমদানির ঘটনা ঘটছে। ধান মজুত থাকার পরও কেন চাল আমদানি করা হচ্ছে? কারণ এখানে টাকা পাচারের ষড়যন্ত্র আছে। আর যারা এটা করছে, তারা বর্তমান সরকারের ব্যবসায়ী।’

কৃষকদের ধান পুড়িয়ে ফেলার বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, কৃষকেরা তাদের ধানের মূল্য পাচ্ছে না। এ কারণে তাদের পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য খুবই অশুভ সংকেত। আর এটা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার এটা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।

বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসনে আরও বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল বিদেশে রপ্তানি করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। এখানে আমাদের প্রশ্ন, চাল তো মজুত আছে। আর যেখানে কৃষক পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলছে, সেখানে কৃষকের কাছ থেকে যদি একটু উঁচু দামে ধান কেনা হতো, তাহলে তো কৃষক ধান পুড়িয়ে দিত না।


বিএনপি সংকটে নয়। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর ইশারায় এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে আমরা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দল পরিচালনা করছি।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়। মানুষের কোনো শান্তি ও কথা বলার অধিকার নেই। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নেই। একটি দেশে যদি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার না থাকে, তাহলে ধর্ম-কর্মের অধিকার কি থাকে? তাই আজকে ধর্ম-কর্মের অধিকারও নেই। কারণ আজকে বাংলাদেশকে ধর্মহীন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার কারাবাসের বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, কোনো আইনের কারণে নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।

বিএনপির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গোমেজ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সুভাষ চন্দ্র চাকমা, প্রধান চন্দ্র চাকমাসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।