হঠাৎ দেখেন এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ৬২ হাজার টাকা!

প্রায় চার বছর ধরে প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ টাকা বিদ্যুতের বিল দিয়ে আসছিলেন শিবু চন্দ্র ধর। হঠাৎ এক মাসে দেখেন, তাঁর বিদ্যুৎ বিল ৬২ হাজার টাকা। এত বিল দেখে তাঁর চোখ কপালে। সমস্যার সমাধানে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। পরে বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এ বিল গত বছরের মে মাসের। ঘটনাটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের।

গতকাল সোমবার দুপুরে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই বিল সম্পর্কে জানান। শিবু চন্দ্র ধর বলেন, ২০১২ সালে একটি নতুন মিটার নিয়ে সীতাকুণ্ড পৌর সদরে তাঁর দোকানে লাগান। দুই বছর ধরে তিনি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা বিল দিতেন। ২০১৪ সালে তিনি দোকানটি বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত গড়ে ৫০০ টাকা বিল দিতেন। কিন্তু মে মাসে বিলে তিনি দেখতে পান, মাত্র ১২৪ ইউনিটের দাম ৬২ হাজার ৬৭১ টাকা। পরে বিলটি নিয়ে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ে যান। তাতে সুরাহা হয়নি। উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন কিছু কর্মকর্তা। পরে তিনি যান চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদস্থ বিভাগীয় কার্যালয়ে। তাতেও কোনো ফল হয়নি।

জানতে চাইলে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তাঁদের কার্যালয়ের এক দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীকে দিয়ে শিবু কান্তি ধর মিটারে কারসাজি করেছেন। এটি সন্দেহ হলে সেখানে চেক মিটার লাগানোর পর বিষয়টি ধরা পড়ে। এ বিষয়ে দুটি তদন্ত কমিটি হয়। তাদের কাছেও কারসাজির বিষয়টি ধরা পড়ায় কমিটিও ওই বিল বহাল রেখেছে।