কৃষকের কাছে গিয়ে ধান কিনলেন নাটোরের ডিসি

নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার থান্দারপাড়া গ্রামে গিয়ে সরকারি মূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনেন। ছবি: মুক্তার হোসেন
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার থান্দারপাড়া গ্রামে গিয়ে সরকারি মূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনেন। ছবি: মুক্তার হোসেন

গ্রামে গিয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে ধান কিনলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহরিয়াজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের থান্দারপাড়া গ্রামে গিয়ে তিনি ধান কেনেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কৃষকেরা সরকারি মূল্যে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না—এমন খবরের ভিত্তিতে নাটোরের ডিসি যেকোনো উপায়ে ধান কেনাবেচায় কৃষকদের সরাসরি সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে ডিসি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বানু, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সদর উপজেলার থান্দারপাড়া গ্রামে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় কৃষকেরা ধান বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে ১৮ জন কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ১৬ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়। এ সময় কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের শনাক্ত করেন। ন্যায্যমূল্য পেয়ে কৃষকেরাও উচ্ছ্বসিত হন এবং ডিসিকে ধন্যবাদ জানান।

আবদুল মতিন নামের এক কৃষক বলেন, ডিসি উপস্থিত থেকে ধান কেনার কথা শুনে তিনি ১০ মণ ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে তিনি ধান বিক্রি করেছেন। প্রতি মণ ধানের দাম পেয়েছেন ১ হাজার ৪০ টাকা। তিনি বলেন, ‘আমার মতো সারা দেশের ধানচাষিরা বাজারে ধানের কম মূল্য পেয়ে দিশেহারা হয়েছেন। সব জায়গায় যদি এভাবে ধান কেনা হয়, তাহলে চাষিরা কিছুটা লাভের মুখ দেখবে।’ তিনি ধান কেনা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

নাটোরের ডিসি মো. শাহরিয়াজ বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে। তিনি ও তাঁর কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার তদারকি করবেন। কোনো ব্যবসায়ী কৃষক সেজে ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।