গৃহবধূর গোসলের ভিডিওধারণ, পরে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গৃহবধূর গোসলের দৃশ্য গোপনে ভিডিওধারণ ও পরে তা ফাঁসের হুমকি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। পরে মামলার প্রধান আসামি মিলন রাঢ়ীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে ওই গৃহবধূর গোসলের দৃশ্য গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করেন মিলন। পরে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।

ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে মিলন তাঁকে ফের অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হননি। এতে মিলন ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ভিডিও ক্লিপ তাঁর স্বামীর কাছে সরবরাহ করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত ১৭ মে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য ও ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতাসহ বেশ কয়েকজন ওই গৃহবধূর ভাড়া বাসায় গিয়ে তাঁর স্বামীকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে যান। একই সঙ্গে ঘটনাটি থানা-পুলিশকে জানালে দুজনের প্রাণনাশের হুমকি দেন তাঁরা।

গৃহবধূর স্বামী বলেন, উজিরপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে ওই ১০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার পর তাঁদের বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে তাঁর স্ত্রী মামলা করেন।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় মিলন রাঢ়ীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজীব শরীফ, স্থানীয় কালাম শরীফ ও ফরহাদ শরীফ। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।