বরিশালে ছয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

বরিশাল নগরে ভেজালবিরোধী অভিযানে ছয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক জরিমানার অর্থ দিতে না পারায় তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা পৃথকভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

বিকেল চারটায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষের নেতৃত্বে নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় কয়েকটি খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় খাবারে ভেজাল এবং ক্ষতিকারক উপাদান মেশানোর অপরাধে বৈশাখী বিরিয়ানি হাউসের মালিক মিজানুর রহমানকে ১৫ হাজার টাকা ও নোংরা পরিবেশে খাবার প্রস্তুত করার অপরাধে চমক হোটেলের মালিক শহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত এবং ক্ষতিকারক উপাদান মেশানোর অপরাধে ডে নাইট নামে অপর একটি হোটেলের মালিক ফাইজুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি জরিমানার অর্থ দিতে না পারায় তাঁকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিকেলে বরিশাল নগরে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে অপর তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। বাজার তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে নাগরিকদের ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করেন তাঁরা।

সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র জানান, অভিযানে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের অপরাধে স্টিমার ঘাট এলাকার মায়ের দোয়া হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, রসমেলা হোটেলকে ২ হাজার টাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখা, ওষুধের মোড়কে বিক্রয়মূল্য না থাকায় বান্দ রোডের আয়েশা মেডিকেল হলকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়ার উপস্থিতিতে অভিযানে সহযোগিতা করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাসেল সিকদার ও ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

সুমি রানী মিত্র বলেন, জনস্বার্থে বাজার তদারকিমূলক অভিযান চলবে।