১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই সয়লাব

এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নগরের বিভিন্ন জায়গায়। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় নগরের প্রবর্তক মোড়ে।  জুয়েল শীল
এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নগরের বিভিন্ন জায়গায়। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় নগরের প্রবর্তক মোড়ে। জুয়েল শীল

মাত্র ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর ভারী বর্ষণ হয়। নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া লোকজন দুর্ভোগে পড়ে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিতে নগরের প্রবর্তক মোড়, ষোলশহর, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে হাঁটুপানি জমে যায়। এ ছাড়া নগরের চকবাজার ও বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল ইফতারের পর লোকজন বিপণিবিতানের উদ্দেশে বের হলে জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হন। এ সময় রাস্তায় গাড়ি চলাচল কমে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।

গতকাল সন্ধ্যায় নগরের প্রবর্তক মোড়ের একটি রেস্তোরাঁয় ইফতার সেরে বহদ্দারহাটে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়া। প্রথমে প্রবর্তক মোড় এবং পরে ২ নম্বর গেট এলাকায় জলাবদ্ধতার মুখে পড়েন তিনি। তাঁকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা নগরের ষোলশহর এলাকায় নামিয়ে দেন। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় ফেরেন এই শিক্ষক।

অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, বৃষ্টিতে নগরের প্রধান সড়ক সিডিএ অ্যাভিনিউর গুরুত্বপূর্ণ অংশ ডুবে গেছে। পানির কারণে গাড়িচালকেরা যেতে চাননি। চাইলেও অনেকে বেশি ভাড়া চেয়েছেন।

এদিকে চকবাজার এলাকাও পানিতে ডুবে যাওয়ায় কেনাকাটা করতে ঘর থেকে বের হতে পারেননি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবদুল হামিদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইফতারের পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাসার সামনের সড়ক ডুবে যাওয়ায় এই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

ডুবে যাওয়া এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁদের এলাকার নালা-নর্দমাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার না করায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এখন যদি এ অবস্থার সৃষ্টি হয়, সামনের ভরা বর্ষা মৌসুমে কী অবস্থা হবে, তা কল্পনা করা যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, নগরের কোন কোন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যদি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তাহলে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।