ব্যবহার করেন ৫ ইউনিট, বিল দেন ৩০ ইউনিটের

ব্যবহার করেন ৫ ইউনিট পানি, কিন্তু বিল দেন ৩০ ইউনিটের। এক–দুজন নয় এ রকম ২৫ ইউনিট অতিরিক্ত বিল দেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ২৭ হাজার গ্রাহক।

গতকাল শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির ৫১তম বোর্ড সভায় এ প্রতিবেদন তুলে ধরে অর্থ বিভাগ। সভায় গ্রাহক হয়রানিসহ নানা বিষয় নিয়ে বোর্ডের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর সার্বিক অনিয়মের তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।

ওয়াসা সূত্র জানায়, সভায় ওয়াসার অর্থ বিভাগ প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরে পানি না পাওয়ার পরেও ১৬৫ জন গ্রাহকের নামে নিয়মিত অতিরিক্ত বিল আসছে। তাঁদের নামে প্রায় ১৭ লাখ টাকা বকেয়া বিল হয়েছে। কিন্তু পানি না পাওয়ায় তাঁরা সেই বিল পরিশোধে আগ্রহী নয়। অন্যদিকে ১ হাজার ৩৫০ জন গ্রাহক পাঁচ বছর ধরে পানির বিল পরিশোধ করছেন না।

সভায় অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়, ওয়াসার বর্তমানে সিস্টেম লস (রাজস্ববহির্ভূত পানি) ৩০ শতাংশ। তবে এ হার ৫০ শতাংশে ছড়াত যদি ২৭ হাজার গ্রাহক ৫ ইউনিট পানি ব্যবহার করেও ৩০ ইউনিটের বিল না দিতেন। এসব বিষয় শোনার পর বোর্ডের সদস্যরা অসন্তুষ্ট হন।

অনিয়ম তদন্তে কমিটি

এরপর সার্বিক অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলাম। কমিটিতে বোর্ড সদস্য জাফর আহমেদ সাদেককে প্রধান করা হয়। কমিটিকে আগামী বোর্ড সভায় তাঁদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এদিকে, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াসা বোর্ডে স্থান পাওয়া সোলায়মান আলম শেঠের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে সভায় বোর্ড সদস্য মহসীন কাজীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় সোলায়মান আলম শেঠের। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পেছনে মহসীন কাজীর হাত আছে বলে ইঙ্গিত দেন সোলায়মান আলম শেঠ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মহসীন কাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াসার কোনো অনিয়মকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আমাকে সংস্থাটির বোর্ড সভায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সরকার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’