বোনকে দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাততেন তাঁরা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় প্রতারণা, অপহরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ। ইখতার উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি অপহৃত হওয়ার পর তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার মো. সাজ্জাদ হোসেন (৪০) ও শাহিনুর রহমান পলাশ (২০) এবং শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল গ্রামের মো. জয় (২০) ও তুহিন মোল্লা (২৬)। পুলিশ বলছে, এই চক্রের সঙ্গে রত্না ও সোহান নামের আরও দুজন আছেন। তাঁদের এখনো আটক করা যায়নি। এই রত্নাকে দিয়ে তাঁরা প্রতারণার ফাঁদ পাততেন বলে পুলিশের দাবি।

মাগুরা সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম আজ রোববার বলেন, গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার টিলা গ্রামের ইখতার উদ্দিনকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অপহরণ করেন এই চক্রের সদস্যরা। এরপর দরিদ্র এই পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয় ৩০ হাজার টাকা। বিকাশের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ না করা হলে অপহৃত ব্যক্তিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তাঁরা। এই অভিযোগে গতকাল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী রহিমা বেগম। এর ভিত্তিতে অভিযানে নামেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। চক্রের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার টাকাও পাঠায় পুলিশ। পরে ওই টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন চক্রের দুই সদস্য। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুজনকে আটক করা হয় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এরপর সদর উপজেলার মঘির ঢাল এলাকা থেকে অপহৃত ইখতার উদ্দিনকে উদ্ধার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এই চক্রের আরও দুজনকে আটক করা যায়নি। তাঁদের মধ্যে রত্না নামের এক নারী আছেন। আটক হওয়া জয়, তুহিন ও রত্না সম্পর্কে ভাই-বোন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বোন রত্নাকে দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হতো। তারপর তাঁরা এসব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় আটক চারজন ও পলাতক দুজনকে আসামি করে অপহরণ, প্রতারণা ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।