ভিপি নুরুলের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে আলটিমেটাম

বগুড়া ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয় ডাকসুর ভিপি নুরুল ইসলাম। এতে তিনি আহত হন। অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বগুড়া, ২৬ মে। ছবি: সংগৃহীত
বগুড়া ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয় ডাকসুর ভিপি নুরুল ইসলাম। এতে তিনি আহত হন। অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বগুড়া, ২৬ মে। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও তাঁর সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার দাবি করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। প্রায় দুই শ শিক্ষার্থী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

গতকাল বগুড়ায় ভিপি নুরুলসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে মানববন্ধনে হামলাকারীদের কয়েকজনের নাম প্রকাশ করা হয়। পরিষদের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী হামলাকারীরা হলেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, বগুড়া জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকভির ইসলাম খান ও প্রচার সম্পাদক মো. মুকুল ইসলাম।

মানববন্ধনে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘সাধারণ ছাত্রদের ওপর এ পর্যন্ত যতগুলো হামলার ঘটনা ঘটেছে, একটিরও বিচার হয়নি। সর্বশেষ গতকাল বগুড়ায় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার যদি বিচার না হয়, তাহলে দেশের সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে হামলাকারীদের মুখোশ ‍উন্মোচন করা হবে।’

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপির ওপর গতকাল বগুড়ায় হামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত হওয়া কোনো হামলারই দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। এ কারণেই বগুড়ায় ফের হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করার জন্য আমরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও দাবি জানিয়েছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা না হলে ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, মশিউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।