নবজাতককে হাসপাতালে রেখে সটকে পড়লেন মা

চার দিন বয়সী এক নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন তার মা। নবজাতক অসুস্থ থাকায় তাকে এখন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২১ মে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই হাসপাতালে নবজাতকের জন্ম দেন ওই মা।

হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের ইনচার্জ মাহফুজা বেগম বলেন, মানসুরা পরিচয়দানকারী প্রসূতি ওই নারী ২১ মে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। এ সময় সঙ্গে তাঁর কয়েকজন স্বজনও ছিলেন। প্রসবজনিত জটিলতা হওয়ায় ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর অসুস্থ থাকায় নবজাতককে হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে মা গাইনি ওয়ার্ডে ছিলেন। কিন্তু গতকাল রোববার খবর নিয়ে জানা যায় যে মানসুরা নামের প্রসূতি গাইনি ওয়ার্ডে নেই। এরপর তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।

মাহফুজা বেগম বলেন, মানসুরা নামের ওই নারী হাসপাতালে ভর্তির নথিতে তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা লিখেছিলেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রাম। তবে তাঁর দেওয়া ওই ঠিকানায় অনুসন্ধান করে এর অস্তিত্ব পায়নি হাসপাতালের সমাজসেবা অফিস। তবে রেজিস্ট্রারে ওই নারীর স্বামীর নাম উল্লেখ নেই। বাবার নামের জায়গায় লেখা আছে আহম্মেদ আলী। এতে ওই নারীর বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ২১ বছর।

এ বিষয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার আজ সোমবার দুপুরে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির কাগজপত্রে উল্লেখ করা ঠিকানা এবং মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই শিশুটিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হবে। তবে নবজাতকটি এখনো অসুস্থ। এ জন্য তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নবজাতকটি এখনো অসুস্থ। আমরা ওর যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর তার প্রকৃত অভিভাবকদের খুঁজে না পাওয়া গেলে আমরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করব।’