ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: চট্টগ্রামে সিটি কাউন্সিলর সাবের কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতা হত্যা মামলায় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম সাবের আহম্মদ। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কাউন্সিলর সাবের আহম্মদ উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে চার সপ্তাহের মধে৵ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। আজ মঙ্গলবার সাবের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে মহিউদ্দিন সোহেলকে খুন করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা প্রায় দুই ঘণ্টা দোকান বন্ধ রাখেন। এই বাজারে পাইকারি ও খুচরা মিলিয়ে সাড়ে ছয় শ দোকান রয়েছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পর এটি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাইকারি বাজার। খুনের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন রাতে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবের আহম্মদ সওদাগর, নগর জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রধান দুই আসামিই পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার কমিটির নেতা। আসামি মোবারক হোসেন আদালতে গত মাসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আর সাক্ষী হিসেবে বিচারিক জবানবন্দি দেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক ব্যক্তি। তাঁরা বলেন, রাস্তায় পিটুনিতে নয়, পরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে খুন করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটে। মাইকে ‘ছিনতাইকারী এসেছে’ ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করেন হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল এই মামলার আসামি জাবেদ হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।