সীমাবদ্ধতার মধ্যেই ঈদের আগে ১০টি রেল ইঞ্জিন মেরামত

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত দেশের একমাত্র আধুনিক কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানায় (কেলোকা) সাড়ে পাঁচ শ শ্রমিক–কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও রয়েছে অর্ধেকের কম। কিন্তু এই লোকবল দিয়েই চলতি মে মাসে সর্বোচ্চ ১০টি রেলওয়ে ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরের আগে এসব ইঞ্জিন সচল হওয়ায় রেলওয়ে পরিবহন খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

কেলোকা সূত্রে জানা গেছে, কারখানাটিতে বছরে কমপক্ষে ২৪টি রেলওয়ে মেরামত হওয়ার কথা। অর্থাৎ প্রতি মাসে দুটি করে ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু লোকবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতায় উৎপাদন নিম্নমুখী হচ্ছিল। কারখানার ১৭টি সেকশনে ৫৫৪ জন শ্রমিক–কর্মচারী কর্মরত থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে মাত্র ২৩৭ জন। ৫৭ ভাগ জনবল দিয়ে চলছে এখানকার উৎপাদন প্রক্রিয়া। ফলে দিন দিন উৎপাদন কমছে। ইতিপূর্বে উৎপাদন নেমে এসে মাসে একটিমাত্র ইঞ্জিন জেনারেল ওভার হলেই (ভারী) মেরামত হচ্ছিল এ কারখানায়। এই সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে সামনে রেখে শুধু মে মাসে এখানে ১০টি রেলওয়ে ইঞ্জিন মেরামত হয়েছে। এর মধ্যে ভারী মেরামত হয়েছে ৫টি ও স্পেশাল মেরামত হয়েছে আরও ৫টি রেলওয়ে ইঞ্জিন। এসব ইঞ্জিন রেলওয়ের পরিবহন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। কেলোকায় মেরামত হওয়া এসব রেলওয়ে ইঞ্জিন ঈদের ঘরমুখী যাত্রী পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইঞ্জিনগুলো বেশ কিছু ট্রেনে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি ইঞ্জিন মেরামতে ব্যয় হয়েছে এক থেকে দুই কোটি টাকা।

কোলোকার আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানায় নতুন ইঞ্জিন সংযোজন (এসেম্বল) সংযোজনের সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ৭০টি মিটারগেজ রেল ইঞ্জিন সংযোজনের কার্যক্রম শুরু করেছে ওই কারখানা। এ সংক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রোটম কোম্পানি সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে সরকারের।

লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করেন কেলোকোর প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা। আজ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারখানাটি অত্যন্ত আধুনিক। এর প্রত্যেকটি মেশিনপত্রও আধুনিক। এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমরা উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি।’