শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রেখেছিলেন পুত্রবধূ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শাশুড়িকে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় পুত্রবধূ লাশ পুঁতে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি চাপা থাকেনি। খবর পেয়ে গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। ওই পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার প্রকাশনগর আদর্শ গুচ্ছগ্রামে। 


নিহত শাশুড়ির নাম মোমেনা বেগম (৪৬)। তিনি ওই গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী। আটক পুত্রবধূর নাম সখিনা বেগম (২১)। তাঁর স্বামীর নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি মোমেনা বেগমের ছোট ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়িতে মোমেনা বেগম ও তাঁর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী সখিনা বেগম ছিলেন। মোমেনার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ধান কাটার কাজে বর্তমানে খুলনায় আছেন।

সখিনা বেগম পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি নিজেই শাশুড়িকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রেখেছিলেন। তিনি বলেছেন, সকালে বাড়িতে ধান শুকানোর সময় মুরগি এসে ধান খায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর শাশুড়ি মোমেনা বেগম তাঁকে মারধর করেন। দুপুরে তাঁর শাশুড়ি ঘুমিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বাঁশ দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন। এতেই তিনি মারা যান। বাড়ির আঙিনায় ধান সেদ্ধ করার জন্য একটি বড় চুলা খনন করা ছিল। তিনি শাশুড়ির লাশ লুকানোর জন্য ওই চুলার ভেতরে ফেলে দিয়ে ওপরে মাটি চাপা দেন।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে গিয়ে তাঁরা মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেছেন। তবে বেশি মাটিচাপা দেওয়া ছিল না। খানিকটা মাটি সরাতেই লাশ পাওয়া গেছে। পুত্রবধূ সখিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মোমেনা বেগমের আরেক ছেলে বাদী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।