হাবিপ্রবিতে ৯ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সুপারিশ

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) যৌন হয়রানি, প্রক্টরের ওপর হামলাসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিন বিদেশি শিক্ষার্থীসহ মোট ৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা কমিটি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই সুপারিশ করা হয়। আগামী রিজেন্ট বোর্ডে উত্থাপনের মাধ্যমে এই সুপারিশ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বান্ধবীকে টিজিং করার অভিযোগে এক্সটেনশন হল ও শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাঁর ওপরও হামলা হয়। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় সহকারী প্রক্টরসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া গত ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দিনব্যাপী রোভার স্কাউটের একটি অনুষ্ঠানে আসা বাইরের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বাঁধন। পরে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাছে অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সরবরাহ ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ফজলুল হক বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা কমিটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৈঠক করে। বৈঠকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে তিনিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মু. আবুল কাসেম, প্রক্টর খালেদ হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও হল সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

ফজলুল হক আরও বলেন, এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাঁধন নামের শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, যৌন নির্যাতন ও সহকারী প্রক্টর মাহবুব হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় আশরাফুলসহ ৫ শিক্ষার্থীকে ২ সেমিস্টার করে বহিষ্কার এবং মাদক ও বিভিন্ন অভিযোগে ২ বিদেশি শিক্ষার্থীকে ২ সেমিস্টার করে ও এক বিদেশি শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এই সুপারিশগুলো উত্থাপন করে কার্যকরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।