নারায়ণগঞ্জে দুই মহাসড়কে বিকেল থেকে গাড়ির চাপ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে গাড়ির প্রচণ্ড চাপ ছিল। দুপুরের পর থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করলেও যানজটে গাড়ি কোথাও আটকে ছিল না।

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সড়কের গর্তগুলো অস্থায়ী ভিত্তিতে মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তুলেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে গেছে, ঈদে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করায় গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল, মদনপুর অংশে গাড়ির সামান্য চাপ ছিল। দুপুরের পর থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। তবে যানজটে কোনো গাড়ি আটকে থাকেনি। এদিকে এই মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে ইউটার্নের কারণে প্রায় ২০০ মিটার জায়গায় গাড়ির চাপ ছিল। মহাসড়কের বাঁ পাশে দখল করে বাজার গড়ে ওঠায় যানজটের কবলে পড়ে ঢাকাগামী গাড়ি।

বেসরকারি স্টার লাইন পরিবহনের শিমরাইল কাউন্টারের মালিক নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী পর্যন্ত আমাদের গাড়ি কোথাও কোনো যানজটের কবলে পড়েনি। নির্দিষ্ট সময় ছেড়ে গিয়ে আবার নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসছে। বিলম্ব হচ্ছে না। তাই যাত্রীদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। আগে ঈদের সময় প্রতিটি গাড়ি তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় বিলম্বে পৌঁছাত। আগে যানজটের কারণে গাড়ির সংকট হতো। এবার যানজট নেই। গাড়িরও সংকট নেই।’

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ভুলতার অংশে সকাল থেকে গাড়ির প্রচুর চাপ ছিল। তবে যানজট ছিল না। ট্রাফিক পুলিশ ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। আসবাব ব্যবসায়ী গুলজার হোসেন জানান, সকাল থেকে ঢাকা বাইপাস সড়কে যানজট ছিল। দুপুরের পর যানজট কমে গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় কোনো যানজট নেই। ভুলতায় সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ করেছে ট্রাফিক পুলিশ।