পাটুরিয়ায় যাত্রীর চাপ আজ বাড়তে পারে

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল স্বাভাবিক। তবে পরপর তিন দিন ছুটি থাকায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ পড়বে বলে জানিয়েছেন ঘাটসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও ট্রাফিক পুলিশের সূত্রমতে, আগামী রোববার পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি রয়েছে। পরের দিন সোমবার সরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকলেও পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য মঙ্গলবার ও বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকে সোমবার ছুটি নিয়ে আজ শুক্রবারই বাড়িতে রওনা হবেন। এ কারণে আজ পাটুরিয়ায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আজমল হোসেন বলেন, স্বাভাবিক সময়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পার করা হয়। প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার বিভিন্ন যানবাহন পারাপার হয়। তবে ঈদে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। গত ঈদুল ফিতরে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এবার ঈদযাত্রায় ১১টি রো রো (বড়) এবং ৯টি ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হবে। বর্তমানে এই নৌপথে ১৮টি ফেরি রয়েছে। আজ শুক্রবার একটি বড় এবং আগামীকাল শনিবার একটি ছোট ফেরি এই নৌবহরে যুক্ত হবে।

ট্রাফিক পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই নৌপথে বেশ কিছু ফেরি অনেক পুরোনো। মাঝেমধ্যে বিকল হয়ে পড়ে। বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, যে ফেরিগুলোতে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। ফেরি মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে নির্বিঘ্নে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা সম্ভব হবে।

‘শিমুলিয়ায় অনিয়ম হলে ব্যবস্থা’

প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ জানান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন। পরে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ঘাটে ৩২টি সিসি ক্যামেরা, একটি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। এর মাধ্যমে ঘাট এলাকা নজরদারি করা হবে। কন্ট্রোল রুমে বসে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটসহ পুরো এলাকা দেখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে পুলিশ। যাত্রীদের কাছ থেকে কেউ ভাড়া বেশি নিতে পারবে না। কোনো প্রকার অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।